ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে অস্ত্রধারীদের মহড়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩৩ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেককে কেন্দ্র করে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য আইনসভার সামনে বিক্ষোভকারীদের ছোট ছোট দল দেখা গেছে, যাদের কেউ কেউ ছিল সশস্ত্র। এতে ২০ জানুয়ারির অনুষ্ঠান নিয়ে নতুন করে সহিংসতার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

টেক্সাস, ওরেগন, মিশিগান, ওহাইও এবং অন্যান্য কিছু রাজ্যের স্থানীয় ক্যাপিটল ভবনের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছে। অবশ্য সহিংসতার আশঙ্কায় বহু শহরেই নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। শহরগুলোতে ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল হাজার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য।

এফবিআই সতর্ক করে বলেছে, বুধবার নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের দিন সশস্ত্র বিক্ষোভ হতে পারে।

ট্রাম্প সমর্থক এবং কট্টর ডানপন্থীদের অনলাইন নেটওয়ার্কগুলোতে রোববার (১৭ জানুয়ারি) সশস্ত্র বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দেয়া হয়েছিল। যদিও কিছু মিলিশিয়া তাদের সমর্থকদের এই বিক্ষোভে যোগ না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তাদের যুক্তি ছিল যে, নিরাপত্তা কড়াকড়ির মধ্যে এসব বিক্ষোভে যোগ দেয়া হবে ফাঁদে পা দেওয়ার শামিল। তবে কয়েকটি শহরে অল্প কিছু বিক্ষোভকারীর ছোট জমায়েত দেখা গেছে।

নিউইয়র্ক টাইমস রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওহাইও অঙ্গরাজ্যের স্টেট হাউজের সামনে ‘বুগালু বয়েস আন্দোলনের’  পঁচিশ-ত্রিশজন সদস্য জড়ো হয়েছিল, যারা ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। তবে এই চরমপন্থী গোষ্ঠীটি বলছে, তাদের এই জমায়েত ছিল আগ্নেয়াস্ত্রের অধিকারের পক্ষে অনেক আগে পরিকল্পনা করা একটি সমাবেশ।

এদিকে, মিশিগানে বিশ-পঁচিশজন মানুষকে দেখা যায় ল্যানসিংয়ের স্টেট হাউজের সামনে প্রতিবাদ করতে। এদের কয়েকজনের হাতে রাইফেল ছিল।

একজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি এখানে সহিংস হতে আসিনি এবং আমি আশা করি কেউই সহিংসতা দেখাবে না।’

ডজনখানেক বিক্ষোভকারীর একটি ছোট দল জড়ো হয়েছিল অস্টিন শহরে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ক্যাপিটলের সামনে। এদেরও কয়েকজনের হাতে রাইফেল ছিল।

এদিকে বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে ওয়াশিংটনের নিরাপত্তার জন্য ২৫ হাজারের বেশি ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

আর্মি সেক্রেটারি রায়ান ম্যাককার্থি সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ হুমকির আশঙ্কায় প্রত্যেক ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের অতীত পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। কেননা, ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল ভবনের দাঙ্গার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে নিউ মেক্সিকোর একজন কাউন্টি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিষেকের আগে ওয়াশিংটন ডিসির অধিকাংশ এলাকাকেই লকডাউন করে রাখা হয়েছে। অভিষেকের দিন সাধারণত ন্যাশনাল ম্যালে বহু মানুষের সমাগম ঘটে, তবে সিক্রেট সার্ভিসের অনুরোধে এবারে তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

বাইডেনের পক্ষ থেকে আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় যে, মহামারির কারণে তারা যেন অভিষেকে অংশ নেয়ার জন্য ওয়াশিংটনে না আসেন। মানুষের উচিত হবে দূর থেকে এই অনুষ্ঠান উপভোগ করা। 
সূত্র : বিবিসি বাংলা
এএইচ/এসএ/