ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হাড় মজবুত রাখতে বদলে ফেলুন খাদ্যাভ্যাস

প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ২৬ মে ২০১৭ শুক্রবার

আমাদের দেহ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য হাড়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। দেহের ভেতরে কঙ্কাল আমাদের দেহকে ধারণ করে রাখে। হাড়ের গঠন একটু ভিন্ন হলেই আমরা হতে পারতাম জড় পদার্থ। কিন্তু আমরা কী কখনও ভেবে দেখেছি যে, এই হাড়ের সুস্থতায় আমরা কতোটা সতর্ক? দেহের সুস্থতার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খাই। সেই সাথে অনেকে আবার নানা ধরনের ব্যয়ামও করে থাকি। আমরা আমাদের হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি, লিভার সহ  বিভিন্ন ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রতি একটু বেশি সচেতন হলেও। কিন্তু হাড়ের যত্নের কথা আমরা একেবারেই ভুলে যাই। ছোটবেলা থেকে হাড়ের যত্ন নেয়ার অভ্যাস না হলে হাড়ের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়। হাড় হয় দুর্বল এবং নরম। বয়স বাড়তে না বাড়তেই হাঁটাচলার ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। নানান রকমের রোগ দেখা দেয়। তাই আমাদের প্রত্যেকের হাড়ের সুস্থতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সেই সাথে নিয়মিত হাড় মজবুতকারী খাবার খাওয়া প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেই হাড় মজবুতকারী খাবারগুলোর গুণাগুণ।

ডিম:

ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। যা হাড়ের গঠন মজবুত করে। এবং এতে ক্যালোরিও থাকে বেশ কম।তাই হাড়ের সুস্থতায় দিনে অন্তত একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

দুধ:

হাড়ের সুস্থতায় ক্যালসিয়াম বেশ কার্যকরী উপাদান। এবং দুধ সব চাইতে ভালো ক্যালসিয়ামের উৎস। দুধের ক্যালসিয়াম খুব সহজে আমাদের দেহ হজম করে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। ছোটবেলা থেকেই দুধ খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। শুধু ছোটোদের নয় বড়দেরকেও হাড়ের সুস্থতায় প্রতিদিন দুধ পান করার অভ্যাস করা প্রয়োজন।

দই:

দই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। এছাড়াও দইয়ে রয়েছে দেহের জন্য ভালো ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া হাড়ের জয়েন্টের সুরক্ষায় কাজ করে। মাত্র এক কাপ দইয়ে রয়েছে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম যা হাড় মজবুত করতে বেশ কার্যকরী। প্রতিদিন না হোক সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন ফ্যাট ছাড়া দই খাবার অভ্যাস করুন। এছাড়া দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে চীজও আমাদের হাড়ের গঠনে বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।

সবুজ শাকসবজি:

পালং শাক, সবুজ শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, লেটুস, শালগম ইত্যাদি উদ্ভিদ প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস। হাড়ের সুরক্ষায় প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো রাখার চেষ্টা করুন। এবং ছোটোদের এই সব খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে হাড় হবে মজবুত।

কমলালেবু:

কমলালেবু এবং লেবু জাতীয় ফলমূলে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি দেহে ক্যালসিয়াম হজম এবং গ্রহণে সহায়তা করে। সকালের নাস্তায় কিংবা বিকেলে কমলালেবু কিংবা কমলালেবুর তাজা রস খাবার অভ্যাস করুন।

তৃণ এবং মশলা:

দারুচিনি, রসুন, পুদিনা পাতা ইত্যাদি শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয় বলেই আমরা জানি। কিন্তু এই সকল মশলা এবং তৃণ জাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড়ের সুরক্ষায় কাজ করে।