ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দেশে টিকার বাইরে থাকবে ৭ কোটি মানুষ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

ভারত সরকারের উপহার অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এখন ঢাকায়। আর বাংলাদেশের কেনা তিন কোটি ডোজের প্রথম চালান আসবে ২৫ জানুয়ারি। টিকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সচিব জানান, এ মাসের ২৭ অথবা ২৮ তারিখে কুর্মিটোলা হাসপাতালে শুরু হতে পারে পরীক্ষামূলক টিকাদান। এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে টিকা ব্যবস্থাপনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জানান, ভ্যাকসিন রাখা হবে তেজগাঁওয়ের ইপিআইয়ের গুদামে।
 
আর সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে কেনা ৫০ লাখ ডোজ আসবে ২৫ জানুয়ারি। প্রথম মাসে টিকা আসবে ৭০ লাখ, এর মধ্যে ৬০ লাখ টিকা দেয়া হবে প্রথম মাসেই। সচিব জানান, পরীক্ষামূলক টিকা দেয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই সারাদেশে শুরু হবে টিকা কার্যক্রম।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব এমএ মান্নান বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পুরো দেশে টিকাদান শুরু করবো। টার্গেট করে চার থেকে পাঁচশত লোককে দিবো। তারপর ডব্লিউএইচও’র প্রটোকল অনুযায়ী এক সপ্তাহ আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে অপেক্ষা করবো। হাসপাতালের বাইরে এখন কোন কেন্দ্র করছি না, কারণ এটা নতুন ভ্যাকসিন এবং কোন সমস্যা হলে আমরা হাসপাতালের সাপোর্ট দিতে পারবো না যদি বাইরে করি।

টিকাদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের তৈরি করা অ্যাপ ২৫ জানুয়ারি হস্তান্তর করার কথা জানান আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব। 

আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের টেস্টিং কার্যক্রম পর্যায়ে আছি। বিশেষ করে সফটওয়্যার কোয়ালিটি টেস্টিং। ২৩ জানুয়ারির মধ্যে আমরা শেষ করে ফেলবো, হয়তো ২৫ তারিখে হস্তান্তর করবো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ভ্যাকসিন দেয়ার পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি, টিকাগ্রহীতাদের ফলোআপে রাখা হবে। টিকা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তি যাতে না ছড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখারও আহ্বান জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, যে জায়গাটায় ইনজেকশন দেওয়া হবে সেই জায়গাটা ফুলতে পারে, লাল হতে পারে, চুলকাতে পারে, ব্যথা হতে পারে, চামড়ার কিছু পরিবর্তন হতে পারে, ইরেকশন হতে পারে। আর জেনারেল সিমটমের মধ্যে গা গুলানো ভাব, বমি বমি ভাব, মাথা ঘুরানো এগুলোও আছে। আমরা যতটুকু দেখেছি, তাতে এর চেয়ে বেশি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখেনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হবে টিকার মহড়া। ১৮ বছরের নিচে, শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই নেই, গর্ভবতী নারীসহ নানা কারণে দেশের ৭ কোটির মত মানুষ টিকার বাইরে থাকবে।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো আপাতত টিকা পাচ্ছেনা। ভ্যাকসিন নিয়ে যাতে কেউ দুর্নীতির চেষ্টা করতে না পারে সেজন্য কঠিন মনিটরিং করা হবে।
এএইচ/এসএ/