ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলে দেবে পদ্মা সেতু (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

পদ্মা সেতু অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলে দেবে। জীবনমানের প্রত্যক্ষ উন্নয়ন ঘটাবে ৬ কোটি মানুষের। এর জন্যে ২১ জেলার সড়কসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি, এমন মত বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, যথাযথ পরিকল্পনা থাকলে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যের দ্বার হিসেবেও কাজ করতে পারে পদ্মাসেতু। 

কর্মপরিকল্পনা অনুসারেই চলছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ। স্বপ্নের সেতুর নির্মাণযজ্ঞে আনন্দের ঝিলিক পদ্মা পাড়ের মানুষের চোখেমুখে। 

এই সেতুতে যুক্ত মহাসড়ক ও রেলপথ পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। দ্রুততর যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভূমিকা রাখবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে।

পদ্মাসেতু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার ৬ কোটি মানুষের যাপিত জীবনে সমৃদ্ধি বাড়াবে, গতিশীল করবে দেশের অর্থনীতিকে।

হিসাবের খাতা জানান দিচ্ছে, সেতুর ইতিবাচক প্রভাবে প্রতিবছর দারিদ্র্য কমবে ০.৮৪ ভাগ। এছাড়া সেতুকে ঘিরেই বিনিয়োগের ডালা খুলে বসে আছে উদ্যোক্তারা। প্রস্তাব আছে বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের।

পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেন, উন্নয়ন পদ্মা সেতু একা করবে না, সকলটা মিলেই উন্নয়ন। চলাফেরায় অভ্যন্তরীণ একটা আন্দোলন ঘটবে। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু ইতিমধ্যে পরিবর্তন এনেছে উত্তরবঙ্গের জন্য। এটা দক্ষিণ বাংলার জন্য আনবে। আমি বলতে চাই, এটা আমাদের শেষ সেতু নয়, আরও সেতু আমরা নির্মাণ করবো আগামী দিনে।

প্রশ্ন হলো, সেতুকে মানব উন্নয়নে কাজে লাগাতে প্রস্তুতি কতটা? সে বিশ্লেষণই করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধুমাত্র যোগযোগ দিয়ে একটি এলাকাতে পূর্ণ উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এটার জন্য আরও অনেকগুলো প্রাতিষ্ঠানিক ও সেবা দরকার পরে। যেমন ব্যাংকিংখাত ওখানে যুক্ত হবে, এটার সঙ্গে নির্ভর করে সেবা খাতের অন্যান্য সেবা ওখানে কিভাবে আসবে। এটার উপর নির্ভর তথ্যপ্রযুক্তিতে ওখানে শক্তিশালী আমরা নিতে পারবো। এই পরিপূরক সেবাগুলো এবং একইসঙ্গে মানবসম্পদকে দক্ষভাবে প্রস্তুত করা, এই দুটি বড় কাজ কিন্তু এখানে আসে। এই প্রস্তুতি শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক সহযোগিতাকে মাথায় রেখে করা দরকার।

সেতুর পরিপূর্ণ ব্যবহারের জন্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর উন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, পাশাপাশি বাড়াতে হবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, যে কর্মসংস্থানটির সৃষ্টি হবে, কিন্তু তাদের ওখানে মানবসম্পদের গুণগত মান, তাদের যে দক্ষতা, তাদের যে নেটওয়ার্কিং- এইগুলো যদি কম থাকে তাহলে কিন্তু সেই সুবিধাটা পাবে না।

আঞ্চলিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায়ও ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু। তাই পরিকল্পনাও হতে হবে ব্যাপক।

এই অর্থনীতি বিশ্লেষক বলেন, স্থল পরিবেষ্টিত দেশ আছে ভুটান বা নেপাল, তারা আমাদের এই এলাকার মোংলা পোর্টের বন্দর দিয়ে যাতায়াতের যে সুবিধা, ট্রানজিট ব্যবহার করতে পারে। এটার সম্ভাবনা প্রভূত, আমি এই সম্ভাবনা শুধুমাত্র ২১টি জেলার ভেতর দেখি না। আমি এটাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সামগ্রিকভাবে সহযোগিতার 
একটা নতুন ক্ষেত্রে এবং অর্থনীতি উন্নয়নের একটা জায়গা দেখি।
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/