ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মোংলায় দুর্ঘটনার শিকার ২টি বিদেশি জাহাজ, দায় কার?

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৪৭ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার | আপডেট: ০২:৫০ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার

মোংলা বন্দরের জেটিতে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে দুটি বিদেশি জাহাজ। শনিবার (২৩ জানুয়ারী) রাতে বন্দর জেটিতে প্যানাডার (রাবার জাতীয় প্রটেকশন) না থাকায় আঘাত ও ঘর্ষণের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয় মেশিনারী বোঝাই পর্তুগাল পতাকাবাহী ইউএইচএল ফোকাস। 

এতে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নাবিকদের কোনও ক্ষতি হয়নি। এ ব্যপারে বন্দরের চেয়ারম্যান ও হারবার মাষ্টারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউএইচএল ফোকাস জাহাজের ক্যাপ্টেন। 

অপরদিকে, নাব্যতা সংকটের কারণে ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ এমভিতুহিনা একই এলাকায় ডুবোচরে আটকে গেলে সেটি কাত হয়ে যায়। যদিও বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় জাহাজটি। গত ২১ জানুয়ারী এ দূর্ঘটনা ঘটে। এই জাহাজ কর্তৃপক্ষও বন্দরে অভিযোগ করেন। 

অভিযোগ পাওয়ায় বিষয়টি স্বীকার করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, এমভি তুহিনা জাহাজের ক্যাপ্টেন অভিযোগ দিয়েছেন তার জাহাজের তলদেশ মাটিতে আটকে যাচ্ছে ভাটার সময়। কিন্তু গত এক মাসে আরও যে জাহাজগুলো ছিল, তারা কোনও অভিযোগ করেননি। 

অন্য জাহাজের ক্ষতিগ্রস্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্যানাডার লাগানোর (রাবার প্রটেকশন) বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ অবস্থায় যতগুলো জাহাজ আসবে তারা একটু আধটু সাফার করবেন বলেও জানান তিনি।

এমভি তুহিনা জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট আল-সাফার ম্যানেজার সাধন কুমার বলেন, বন্দর জেটির সম্মুখভাগে সাত মিটার গভীরতা রয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু জাহাজটি সেখানে রাখার পর দেখা গেছে- চার থেকে সাড়ে চার মিটার গভীরতা রয়েছে সেখানে। যার ফলে ভাটার সময় জাহাজটি ডুবোচরে আটকে কাত যায়। এ কারণে ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে “লেটার অফ পোর্টেস্ট” (অভিযোগ) করেছেন বলেও জানান তিনি। 

অন্যদিকে রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মেশিনারী নিয়ে আসা পর্তুগাল পতাকাবাহী ইউএইচএল ফোকাস নামে জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট অলসিসের প্রতিনিধি সাখওয়াত মিলন বলেন, ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জাহাজের ক্যাপ্টেন অভিযোগ করেছেন। একইসঙ্গে তারা এই বন্দর ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি। 

আর এ বিষয়টি নিয়ে বন্দর মহলে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। 

এনএস/