ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

চিতল মাছের চাষ করে প্রশংসিত তারেক (ভিডিও)

হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:১০ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার

বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় থাকা চিতল মাছের চাষ করছেন দিনাজপুরের বিরামপুরের মাছ চাষী এএসএম তারেক। উচ্চশিক্ষিত এই মাছচাষীর সাফল্য দেখে উৎসাহ বেড়েছে এলাকার মাছ চাষীদের মধ্যে। মৎস্য কর্মকর্তারাও প্রশংসা করেছেন তারেকের এমন উদ্যোগকে। 

সুস্বাদু চিতল। সিন্দু, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র মহানন্দা হয়ে মায়ানমারের ইরাবতী উপত্যকা পর্যন্ত রসনা বিলাসের অন্যতম উপাদান।

নদীতে বিচরণশীল মাছকে পুকুরে উৎপাদন করছেন দিনাজপুরের বিরামপুরের বিনাইল গ্রামের এএসএম তারেক। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে চাকরির পেছনে ছুটেননি। ২০১২ সালে নিজ গ্রামে গড়ে তোলেন তাজ এগ্রো ফার্ম। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষে সফল হওয়ার পর দু’বছর আগে চিতল চাষ শুরু করেন তারেক। 

এখন তার সংগ্রহে আছে ২ হাজার মা মাছ। এলাকায় তিনি এখন সফল চিতল উৎপাদক।

তাজ এগ্রো ফার্মের উদ্যোক্তা এএসএম তারেক বলেন, কয়েক বছর থেকে এই চিতল মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এই মাছকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় তাজ এগ্রো ফার্ম। এই মাছকে পুনরায় প্রান্তিক পর্যায়ের খামারীদের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। 

স্থানীয় অনেক মৎস্যচাষী চিতল চাষের উদ্যোগ নিয়েছে।

স্থানীয় মৎস্যচাষীরা জানান, এই মাছে লাভ বেশি, অল্প সময়ে বেশি আয় হয়। বাজারে চিতল মাছের খুবই চাহিদা, ইচ্ছা থাকলেও পাওয়া যায় না। 

খামারে কর্মরত এক শ্রমিক জানান, প্রকল্প দেখাশোনা করি, মাছ ধরি। আমরা আট-নয়জন আছি, প্রচুর বেতন দেয়।

দেশীয় চিতল মাছকে বিলুপ্তি থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে মৎস্য বিভাগ। 

দিনাজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. এএসএম রেজাউল করিম বলেন, চিতলের সাথে কার্ব জাতীয় মাছ চাষ খুবই সহজ প্রক্রিয়া। এটি চাষ জনগণের জন্য খুবই সহজ। এজন্য আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যে, চিতলের সাথে কার্ব জাতীয় মাছ চাষের বিষয়ে প্রশিক্ষণ করাই এবং উদ্যোগতা তৈরি করি।

আইইউসিএন-এর বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় ছিলো চিতল।
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/