ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

রাগের উপকারীতা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:২৫ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

রাগ করে কি আসলে কোনো উদ্দেশ্য হাসিল হয়? অনেকেই মনে করেন কিছু রাগ থাকা ভালো। চলুন দেখা যাক, রাগের কিছু সাধারণ কারণ, আসলেই তা ঠিক কি না:
১. কেউ খারাপ ব্যবহার করলে- রাগ করলে পরিস্থিতি আরো খারাপ বৈ ভালো হবে না। তার চেয়ে আপনি মাথা ঠান্ডা রাখলে সম্ভাবনা আছে যে, অপর পক্ষ ভুল বুঝবে এবং অনুশোচনা করবে।
২. ঠকানোর চেষ্টা করলে- রেগে না গিয়ে ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন এবং ভবিষ্যতের জন্যে সাবধান হয়ে যান।
৩. অন্যায় অবিচার করলে- মনে রাখুন, একা প্রতিবাদ করা অর্থহীন। সবলের অন্যায়ের মুখে দুর্বল এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। অন্যায়ের প্রতিকার করার মতো শক্তি এবং সঙ্ঘবদ্ধতা অর্জন করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৪. স্বীকৃতি না পেলে- স্বীকৃতির প্রত্যাশা না করে কাজ করে যান। কাজই তার প্রতিদান দেবে।
৫. বিদ্রুপ করলে- রেগে গিয়ে আপনি কি তার উদ্দেশ্যকেই সার্থক করছেন না? নিজের নিয়ন্ত্রণ অন্যের হাতে তুলে দিয়ে কেন হাসির পাত্র হবেন? উল্টো আপনি হাসুন। সে ভড়কে যাবে।
৬. মানসিক চাপ থাকলে- রেগে গেলে চাপ বাড়বে বৈ কমবে না। তাতে কাজের মান আরো খারাপ হবে। সময় লাগবে বেশি। বরং এই চাপকে দেখুন সুযোগ হিসেবে নিজের দক্ষতাকে আরো বাড়িয়ে নেয়া এবং আরো যোগ্য হবার জন্যে।
৭. কর্তৃত্ব হারানোর ভয় থাকলে- কর্তৃত্ব ধরে রাখার আসল কৌশল হলো মাথা ঠান্ডা রাখা। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারা।
৮. প্রত্যাখ্যাত হলে- প্রস্তাব দেয়ার অধিকার যেমন আপনার আছে তেমনি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের অধিকারও অন্যের আছে এটা আপনাকে স্বীকার করতে হবে।
৯. যুক্তিসংগত কথা বুঝতে না চাইলে- উত্তেজিত না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন। যে ভাষায় বললে অপরপক্ষ বুঝবে তাকে সে ভাষায়ই বোঝান। প্রয়োজনে সময় নিন।

সকল ধর্মেই রাগ, ক্ষোভ, ঘৃণা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। মহামতি বুদ্ধ বলেছেন, রণক্ষেত্রে সহস্র যোদ্ধার ওপর বিজয়ীর চেয়ে রাগ-ক্রোধ বিজয়ী বা আত্মজয়ী বীরই বীরশ্রেষ্ঠ। [সহস্সবগ্গো: ১০৩], যীশু বলেন, যখন কেউ তোমার সাথে অন্যায় আচরণ করে, তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও। সদাপ্রভুও তোমাকে ক্ষমা করবেন। [মথি: ৬:১৪], বেদে আছে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত রাগ-ক্রোধ থেকে দূরে থেকো। [সামবেদ: ৩০৭],  মহানবী (সা) বলেন, ক্রদ্ধ হয়ো না। যে ব্যক্তি ক্রোধকে সংবরণ করতে পারে সে-ই প্রকৃত বীর। (বোখারী)
এসএ/