ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

খরা কাটেনি নলডাঙ্গা রাজবাড়ি রির্সোট ও পিকনিক স্পটের (ভিডিও)

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার

ঝিনাইদহের নলডাঙ্গা রাজবাড়ি রির্সোট ও পিকনিক স্পট বিনোদনের পাশাপাশি ধারণ করে আছে ইতিহাসও। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এই বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীর খরা কাটেনি। এ কারণে সমস্যা-সংকটে দিন পার করছেন এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।

ঝিনাইদহ শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে তৈলকুপী গ্রাম। এই গ্রামেই নলডাঙ্গার রাজা প্রমথ ভূষণের স্মৃতি ধরে রাখতে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পট’ নামে এই বিনোদন কেন্দ্র। পার্কটির প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা মিলবে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের।

২০ একর জমির উপর নির্মিত এই পার্কে রয়েছে মায়াবী স্পট, কৃত্রিম অভয়ারণ্য, ডু-প্লেক্স কটেজ, শিশু-কিশোরদের জন্য একাধিক রাইডস, সুবিশাল লেক, হংসরাজ প্যাডেল বোট, ওয়াটার পার্ক, পাহাড়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য স্টেজসহ নানা ধরনের পশুপাখির ভাষ্কর্য।

নিরাপদ পরিবেশের কারণে প্রতিবছর এখানে ভীড় করতো শত শত দর্শক। রিসোর্টটি চালু থাকলেও করোনা সংক্রমণের বিরূপ প্রভাবে দর্শনার্থী কম। ফলে অনটন নেমে এসেছে কর্মীদের জীবনে।

দর্শনার্থীরা জানান, অনলাইনে চেনে এখানে এসেছি। আসার পর পার্কটা আরও সুন্দর লেগেছে। এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস আছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনোদন কেন্দ্রগুলো খোলা রাখার দাবি কর্মকর্তাদের।

নলডাঙ্গা রাজবাড়ি রির্সোট এন্ড পিকনিক স্পটের সিইও ইমদাদুল হক সোহাগ বলেন, কুষ্টিয়া থেকে শুরু করে যশোর পর্যন্ত এলাকার রাজধানী ছিল নলডাঙ্গা। পার্কটি বন্ধ ছিল আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়েছে এবং এই সময়ে অবকাঠামোগত যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলো এখনও আমরা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। সরকার যদি কোন প্রণোদনা দেন সেক্ষেত্রে আমরা আরেকটু এগিয়ে যেতে পারবো বলে আশা করি।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী।

নলডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, মাঝে মধ্যে আমরা এসে পার্কের ভেতর, পার্কের আশপাশে যেসব বখাটে ছেলেপেলে থাকে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসি। 

শিশু ও কিশোরদের পাশাপাশি বিনোদন পিয়াসী সকল শ্রেণীর মানুষের আনন্দ যোগাতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
ভিডিও :


এএইচ/এসএ/