ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

২০২৪ সালে উৎপাদনে যাবে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (ভিডিও)

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:১৮ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার

দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ। ১২শ’ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৪৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২৪ সালে পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে পারবে মাতারবাড়ি প্রকল্প। কয়লা আমদানির সুবিধার্থে গভীর সমুদ্র বন্দর দুই-এক বছরের মধ্যে চালু হবে বলেও জানান তারা।

মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ২০১৪ সালে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। কয়লা আমদানির জন্য গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি, চ্যানেল খনন, কয়লা খালাসের জেটি এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে। বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পের কাজ করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। 

করোনা সংকটের মধ্যেও থেমে নেই কাজ। এরইমধ্যে গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটিতে ভিড়েছে তিনটি বিদেশি জাহাজ। কর্মকর্তারা জানান, ৪৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন ২০২৪ সালের জানুয়ারী ও দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসবে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দর বাস্তবায়নের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং গভীর সমুদ্রবন্দর বাস্তবায়নের জন্য অনেক বড় অবদান রেখেছে যা দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা ও তেল পরিবহনের জন্য ১৪.৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য, ২৫০ মিটার চওড়া এবং ১৮.৫ মিটার গভীর সমুদ্র বন্দরের জেটি নির্মাণ কাজ চলছে।

আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কয়লা ও তেল পরিবহনের জন্য ১৪.৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য, ২৫০ মিটার চওড়া এবং ১৮.৫ মিটার গভীর চ্যানেলসহ আনলোড জেটি নির্মাণাধীন রয়েছে।

আমদানী করা কয়লা লোড-আনলোড জেটি, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, টাউনশীপ, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা। 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ বলেন, সেখানে আমি যতটুকু জানতে পেয়েছি ৪৮ শতাংশ গ্রাউডওয়ার্ক যেটা সেটা সম্পন্ন হয়েছে।

মাতারবাড়ি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। 

ভিডিও-

এএইচ/