ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

একুশের আয়োজন এখন শুধুই প্রভাতফেরীর মধ্যে সীমাবদ্ধ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৪ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

ভাষার মাসে আগে পাড়া-মহল্লায় নানা অনুষ্ঠান হতো, বের করা হতো বিশেষ সাময়িকী। গত বেশ কয়েক বছর ধরে থেমেছে এই কর্মকাণ্ড। এর বড় কারণ ক্লাব-পাঠাগার সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাওয়া। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, একুশের আয়োজন এখন শুধুই প্রভাতফেরীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। ক্লাব-পাঠাগারকেন্দ্রিক সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার মানেই পিছনের দিকে হাঁটা। 

একুশের চেতনায় প্রভাতফেরীর গান, ইতিহাসকে না ভুলে যাওয়ার অঙ্গীকার। শুধু প্রভাতফেরীই নয় একসময় ভাষার মাস আসলেই পাড়া-মহল্লায় থাকতো নানা আয়োজন। দেয়াল পত্রিকা কিংবা বিশেষ সাময়িকী বের করতে কিশোর-যুবকদের ব্যস্ততার সীমা থাকতো না। থাকতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও।

বিগত বেশ কিছু বছর হলো ধীরে ধীরে এসব কিছু যেনো হারিয়ে যেতে বসেছে। এসব যেনো এখন শুধুই স্মৃতি।  

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, শহীদ মিনারে ফুল দিতে যেতাম একুশে ফেব্রুয়ারির দিন। এইভাবে শৈশব-কৈশোর থেকে আমরা একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্মরণ করে আসছি। এখন একদাম নেই সেটা ঠিক নয়, আছে হয়তো একটু মাত্রাটা কমেছে। 

দিনে দিনে পাড়া-মহল্লায় একুশের আয়োজনে কেন ভাটা পড়লো? তাহলে কি বিদেশি সংস্কৃতি গ্রাস করেছে বাংলাকে? 

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আমার মা কালো বলে কি আমি একজন বিদেশিকে মা বলে ডাকবো? নিশ্চয়ই ডাকবো না। আমার মাতৃভাষা বাংলা, এটা অবহেলার ভাষা নয়। পাড়া-মহল্লায় একসময় একসময় ক্লাব সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, সেখানে গান হতো, নাটক হতো, যাত্রা হতো কিন্তু সেটি এখন আর নেই। 

আহ্বান আছে যুব ও ছাত্র সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসার।

গোলাম কুদ্দুছ আরও বলেন, প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো একুশে ফেব্রুয়ারি আসলে আগে থেকেই তারা প্রস্তুতি নিতো। শুধু প্রভাতফেরীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো না। এখন দুই-তিনটি ব্যান্ডদলকে এনে টাকা দিয়ে অনুষ্ঠান করে ফেলে। তার মানে কোন ক্রিয়েটিভিটি নেই। সুতরাং আজকে বাংলা অবহেলিত, বাঙালি সংস্কৃতিও অনেক ক্ষেত্রে অবহেলিত।

সব কিছুর পরও আশা নতুন প্রজন্মের। যাদের কন্ঠে থাকবে বাংলার জয়গান।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বলেন, লড়াই আমাদের করতে হবে। যে লড়াইয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি হয়েছিল।

ভিডিও-

এএইচ/