ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২৩ ১৪৩২

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা উপেক্ষা করে ঋণ আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত : ০৮:৩৯ এএম, ২৯ মে ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৯:২৪ এএম, ২৯ মে ২০১৭ সোমবার

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে উপেক্ষা করে নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে ক্ষতিগ্রস্তরা বাধ্যহয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন গবাদি পশু অথবা দ্বারস্থ হচ্ছেন দাদন ব্যবসায়ীর। তবে ঋণ আদায়ে চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করেছেন এনজিও কর্মীরা।
আগামী ফসল ঘরে না ওঠা পর্যন্ত ঋণ আদায় না করার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরাঞ্চলের কৃষকরা। কিন্তু এ ঘোষণা আমলে নিচ্ছে না এনজিও কর্মীরা। নেত্রকোণার মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়িসহ ক্ষতিগ্রস্ত ৬ উপজেলায় থেমে নেই কিস্তি আদায়। ঋণের টাকা আদায়ে আগের মতোই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাগিদ দেয়া হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, এনজিও কর্মীদের তাগিদে কিস্তি পরিশোধে গরু-ছাগল ও ঘরের হাঁস-মুরগি বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। অনেকেই দাদনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে আরও বাড়ছে ঋণের বোঝা।
ঋণ আদায়ে তাগাদার খবর সাংবাদিকদের না জানানোর হুশিয়ারী দেয়ার অভিযোগও করেন কৃষক পরিবারগুলো। তবে ঋণ পরিশোধে চাপ দেয়া হচ্ছে না বলে দাবি এক এনজিও কর্মীর।
এদিকে, ঋণ আদায় বন্ধ করা না হলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় প্রশাসন।
হাওরবাসীর ভোগান্তি কমাতে ঋণ আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি লিজ দেয়া জলমহালগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।