ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ১৯ ১৪৩২

চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’

প্রকাশিত : ০১:৪৭ পিএম, ২৯ মে ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০২:২৮ পিএম, ২৯ মে ২০১৭ সোমবার

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঝড়টি আগামী ১৮ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর ও কক্সবাজার উপকূলে ৭ নম্বর এবং মংলা ও পায়রা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপকূলীয় এলাকাগুলোতে। ফিরে আসছে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে উত্তাল সাগর।
কক্সবাজার উপকূল থেকে ৪শ’ ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, সার্বিক প্রস্তুতির জন্য দুর্যোগ বিষয়ক কমিটির বিশেষ সভা হয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে। সভায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে জাহাজ থেকে পণ্য খালস বন্ধ রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জেটিতে নতুন করে জাহাজ ভেড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলা ও প্রাণহানি এড়াতে চট্টগ্রামের সব চিকিৎসক ও নার্সের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। খুলে দেয়া হয়েছে উপকূলের সব আশ্রয়কেন্দ্র।
পটুয়াখালীতে জোয়ারের পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা। ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি। সাগর উত্তাল থাকায় মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুরে আশ্রয় নিয়েছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার।
পটুয়াখালীতে জরুরি সভায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ উপজেলার সকল কন্ট্রোল রুম ও সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ১৮ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার সকালে ‘মোরা’ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।