রেইনট্রি হোটেলে ২ ছাত্রী ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৯ জুন
প্রকাশিত : ০৭:৩৭ পিএম, ২৯ মে ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৮:০০ পিএম, ২৯ মে ২০১৭ সোমবার

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হবে ১৯ জুন। এদিকে, মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার আহমেদের মালিকাধীন আপন জুয়েলার্সের গ্রাহকদের স্বর্ণ ফেরত দেয়া শুরু হয়েছে। ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়টি আলোচিত হওয়ার পর আপন জুয়েলার্সের মালিকের স্বর্ণ চোরাচালানের বিষয়টি উঠে আসে। এর প্রেক্ষিতে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪শ’ ২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার তদন্ত কাজ শেষের পথে। প্রতিবেদন দাখিল হবে ১৯ জুন। ঢাকা মহানগর হাকিম দেলওয়ার হোসেন এই তারিখ ধার্য করেন।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার পাঁচ আসামিই এখন কারাবন্দি। এর মধ্যে আসামি সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ও বেল্লাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় মামলা হয়।
ধর্ষণের ঘটনার পর এ’ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের স্বর্ণ চোরাচালানের বিষয়টিও আলোচিত হয়।
পরে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় অভিযান চালান শুল্ক গোয়েন্দারা। জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরা।
এ’ অবস্থায় মেরামতের জন্য আপন জুয়েলার্সে গহনা রাখা ব্যক্তিরা বিপাকে পড়েন। গ্রাহকদের দুর্দশা লাঘবে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি সোমবার স্বর্ণ ফেরত দেয়া শুরু হয়।
এ’ সময় শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, জুয়েলার্স সমিতি ও আপন জুয়েলার্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের দাবি করা স্বর্ণের পরিমাণ সাড়ে ৩ কেজি। কিন্তু আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখা থেকে জব্দ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪শ’ ২৭ গ্রাম হীরা।