ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২৩ ১৪৩২

‘মোরা’ আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সকালে; ১০ নম্বর মহা-বিপদ সংকেত

প্রকাশিত : ০৮:০৯ পিএম, ২৯ মে ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৮:৩১ পিএম, ২৯ মে ২০১৭ সোমবার

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ঘূর্নিঝড়টি আরো জোরদার ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দর ও কক্সবাজার উপকূলে ৭ নম্বর এবং মংলা ও পায়রা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। 
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে উত্তাল চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সংলগ্ন উত্তরপূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর। আতংকে রয়েছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। এসব এলাকার মাছ ধরার ট্রলারগুলো এরইমধ্যে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে জাহাজ থেকে পণ্য খালস বন্ধ রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জেটিতে নতুন করে জাহাজ ভেড়ার উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি রয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় বৈঠকে বসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। লোকজনকে সাইক্লোন সেন্টারে সরিয়ে নেয়াসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার দূর্যোগ মোকাবেলা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটি সভায় জানানো হয়, সব উপজেলায় সার্বক্ষণিক কন্টোল রুমসহ উপকূলবর্তী ৫৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় আঘাত হানার আতংকে রয়েছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর ও সংলগ্ন এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর সমূদ্র তীরবর্তী বেশকিছু এলাকা এরই মধ্যে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
মংলা বন্দর এলাকায় ৩টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪২টি সাইক্লোন শেল্টার।
আবহাওয়ার অধিদপ্তর বলছে, ঘুর্ণিঝড়িটি আরো শক্তিশালী হয়ে মঙ্গলবার সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও উপকুলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে।
উপকূলীয় এলাকায় পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী মজুদসহ মেডিকেল টিম ও কয়েক হাজার স্বেচ্ছসেবী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।