ঢাকা, শনিবার   ১৯ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৩ ১৪৩২

চ্যালেঞ্জ গ্রহণপূর্বক কাজ করতে বললেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৭:১৯ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, গতানুগতিকতার বৃত্ত হতে বেরিয়ে এসে চ্যালেঞ্জ গ্রহণপূর্বক টিমওয়ার্কে কাজ করুন। লক্ষ্য ঠিক করে দায়িত্ব বণ্টনপূর্বক আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করুন। পর্যালোচনা সভা করে অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যান।

প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সেমিনারকক্ষে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য সম্ভাব্য তালিকা হালনাগাদকরণ কর্মসূচির সর্বশেষ অবহিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা প্রদানকালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে এ আহবান জানান।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে হাজার হাজার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা (প্রত্নস্থান) রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের ২টি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য- ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট ও পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ এবং ১টি প্রাকৃতিক সাইট- সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কে এম খালিদ বলেন, কোন সাইটকে ইউনেস্কো'র বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হলে সেটিকে অবশ্যই টেনটেটিভ লিস্টে (সম্ভাব্য তালিকায়) অন্ততঃ এক বছর থাকতে হয় এবং এগুলো হালনাগাদকরণের কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু আমাদের টেনটেটিভ লিস্টে ১৯৯৯ সালে ৫টি সাইট অন্তর্ভুক্ত করার পর দীর্ঘদিন যাবৎ তালিকা হালনাগাদকরণের উদ্যোগ কেউ নেয় নাই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এই তালিকা প্রথম প্রস্তুত করা হয় এবং একটু দেরিতে হলেও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এটি হালনাগাদকরণের উদ্যোগ ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে অনলাইনে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন এবং ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান মিজ বিয়াট্রিস কালদুন।

'সম্ভাব্য তালিকা হালনাগাদকরণ প্রক্রিয়া' বিষয়ে অনলাইনে উপস্থাপনা করেন ICOMOS বাংলাদেশ এর সভাপতি ড. শরীফ শামস ইমন। হালনাগাদকৃত তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেন।

সেমিনারে স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার মো. মাহবুবুর রহমান।

আরকে//