ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নারিকেলের ফেস মাস্ক

প্রকাশিত : ০৫:৫০ পিএম, ৩১ মে ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৪:৫০ পিএম, ১ জুন ২০১৭ বৃহস্পতিবার

চুলের যত্নে নারিকেল তেলের ব্যবহার অনেক পুরানো। কিন্তু নারিকেল দিয়ে যে মাস্ক তৈরি করা যায় এমনটা হয়ত অনেকেরই জানা নেই।

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট অবলম্বনে তৈরিকৃত এ প্রতিবেদনে নারিকেল দিয়ে ত্বকের যত্নে কিছু মাস্ক তৈরির পন্থা এখানে দেওয়া হল।

এক্সফলিয়েটিং মাস্ক: টমেটোর ভেতরের নরম অংশ বীজসহ আলাদা করে নিয়ে ব্লেন্ড করুন। এবার তার সঙ্গে মেশান দুই টেবিল-চামচ দুধ এবং আধা কাপ কোড়ানো নারিকেল। উপকরণগুলো ভালোভাবে মেশান। এবার মিশ্রনগুলো পুরো মুখ ও গলার ত্বকে লাগিয়ে নিন। উপরের দিকে হালকাভাবে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করুন তিন থেকে পাঁচ মিনিট। এরপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

কোড়ানো নারিকেল ত্বক কোমলভাবে এক্সফলিয়েট করবে। নারিকেলের শাঁস নরম হওয়ায় তা সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও বেশ উপযোগী। অন্যদিকে টমেটো ও দুধ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

ত্বকে পুষ্টি জোগানোর মাস্ক: নারিকেলের নরম শাঁস প্রাকৃতিক এসপিএফ’য়ের উৎস (আনুমানিক এসপিএফ ৪ রয়েছে)। নরম শাঁস ভালোভাবে ব্লেন্ড করে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন। এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল বা এসেনশিয়াল তেল মেশান। এবার মিশ্রণটি হালকা হাতে মালিশ করে ত্বকে ও গলায় লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে গরম পানিতে ভেজানো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। 

টোনিং মাস্ক: নারিকেলের পানি ও দুধ সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী প্রাকৃতিক টোনার। আধা কাপ নারিকেলের পানি বা দুধ এক চা-চামচ শসার রস বা আনারসের রস এবং দুতিন ফোঁটা অ্যালোভেরার জুসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণে এক টুকরা তুলা ভিজিয়ে মুখে বুলিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ ত্বকের রংয়ের অসমতা দূর করতে সাহায্য করে।