ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

‘ভাষার মর্যাদা অর্জনে শেখ হাসিনার অবদান দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার

ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, ‘বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক মর্যাদা অর্জনে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে আজ সোমবার বিকালে ‘বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক মর্যাদা অর্জনে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার।

এতে আলোচক ছিলেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বরেণ্য কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, লেখক চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।

অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই আলোচনা আমাদেরকে কেবল পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোতে বাঙালীদের মাতৃভাষার দাবি প্রতিষ্ঠাকে স্মরণ করিয়ে দেয়না, বিশ্বের নানা স্থানে অনুষ্ঠিত ও চলমান মাতৃভাষার দাবিকেও স্মরণ করিয়ে দেয়। এমনকি আসামের শিলচরে বাংলা ভাষার জন্য রক্তদানও সারা বিশ্বের মাতৃভাষার দাবিকে মহিমান্বত করে। মাতৃভাষার আন্দোলন এখনও পাকিস্তান, ভারত, লাটভিয়া, আমেরিকা, নেপাল ও দক্ষিণ আমেরিকায় চলমান। আমরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য রক্ত দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পিতৃত্বে একটি বাংলা ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। এই অর্জনের পাশাপাশি আমাদের শহীদ দিবস সারা বিশ্বের মাতৃভাষা দিবস হওয়াটাও আমাদের বিশাল অর্জন।’

সভাপতির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালে চীনের রাজধানী বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলন থেকে আরম্ভ করে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম বারের মতো বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেভাবে তুলে ধরেছেন তার দ্বিতীয় কোনও নজির নেই। 

তিনি বলেন, ১৯১৩ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জন করে বাংলা ভাষার সমৃদ্ধতা যেভাবে বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার যোগ্য উত্তরসুরী ছিলেন স্বাধীন বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সালে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ভাষা শহীদ দিবস ২১ ফেব্রুয়ারিকে জাতিসংঘের মাধ্যমে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালনের স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।

মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘বাংলায় রায় লেখা হচ্ছে- যা আমাদের আনন্দিত করেছে।

কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আমাদের সাহিত্য বহির্বিশ্বে তুলে ধরার উদ্যোগ খুবই কম। মানসম্মত অনুবাদের মাধ্যমে আমাদের সাহিত্য বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে পারেলে তা আমাদের সাহিত্যের সমৃদ্ধি ঘটাবে।’

১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘উন্নয়নের ইতিহাসের সঙ্গে ভাষার ইতিহাস জড়িত। জাপানের উন্নয়নের মূল কারণ মাতৃভাষাকে গুরুত্বারোপ।- বাসস

এসি