ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

উইঘুরদের বিরুদ্ধে চীনা কার্যক্রমকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিলো কানাডা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

চীনে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি যে আচরণ করা হচ্ছে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করে ভোট দিয়েছে কানাডার হাউজ অফ কমন্স। প্রস্তাবটি ২৬৬-০ ভোটে পাস হয়। যেখানে বিরোধী দলের সবাই এবং ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির কিছু অংশ ভোট দেন। খবর বিবিসি বাংলা’র।

অবশ্য প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার মন্ত্রিসভার বেশির ভাগ সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন। তবে ভোটের সময় পার্লামেন্টে মন্ত্রিসভার মাত্র একজন সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক গার্ন্যুয়ের উপস্থিতি দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডা হলো দ্বিতীয় দেশ, যারা উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনা আচরণকে ‘গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দিলো।

আইনপ্রণেতারা একই সাথে একটি সংশোধনী পাশ করেছেন যেখানে ‘চীন সরকার উইঘুর গণহত্যা অব্যাহত রাখলে’ ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক বেইজিং থেকে সরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে আহবান জানানোর কথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনা আচরণকে গণহত্যা বলতে কিছুটা দ্বিধান্বিত ছিলেন এবং বলেছেন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিষয়টি আরও যাচাই বাছাই করা দরকার।

ভোটের আগে বিরোধী দলীয় নেতা ইরিন ও’টুল বলেছেন, এ পদক্ষেপ হলো একটি বার্তা দেয়া যে ‘আমরা মানবাধিকার ও মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়াবো, এমনকি কিছু অর্থনৈতিক সুযোগ ত্যাগ করে হলেও।’

তবে কানাডায় চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, পার্লামেন্টের প্রস্তাব চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল। ‘আমরা এটি প্রত্যাখ্যান করছি, কারণ এটি সত্যের বিরুদ্ধে। সেখানে গণহত্যার মতো কিছুই ঘটছেনা’ কানাডার গণমাধ্যমকে বলছিলেন তিনি।

এদিকে মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন প্রায় দশ লাখ উইঘুরকে গত কয়েক বছর ধরে ক্যাম্পে আটক করে রেখেছে চীন। বিবিসির এক অনুসন্ধানে উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এএইচ/ এসএ/