ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

সোনারগাঁয়ে ২৯০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব-১১ এর মাদকবিরোধী অভিযানে জেলার সোনারগাঁ থানাধীন সাদিপুর ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকা হতে অভিনব কায়দায় পেটের ভেতর মাদকদ্রব্য ইয়াবা পাচার করে নিয়ে এসে বিক্রয়ের সময় ২৯০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. রমজান হোসেন জয় (৩০) এবং মো. রাজিব হোসেন (২৫)। গ্রেফতারকৃত আসামীরা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন দেওভোগ এলাকার হাসান আলী ও সাহাপুর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ইয়াবা পাচারকারী। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে আরও কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে উক্ত ইয়াবা পাচারকারীরা অভিনব কৌশলে পেটের ভিতরে করে ইয়াবা নিয়ে যাত্রীবাহী বাসযোগে কক্সবাজার হতে নারায়ণগঞ্জ রওনা দেয়। 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে বারোটায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন দেওভোগ এলাকায় গ্রেফতারকৃত আসামী মো. রমজান হোসেন জয় (৩০) এর বাড়ীতে অভিযান চালায়। অভিযানে আসামী রমজান ও রাজিবের পেট থেকে বের করা অবস্থায় লাল ও কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো ছোট ছোট ৫৮টি ইয়াবার পোটলা যার প্রত্যেকটিতে ৫০ পিস করে মোট ২,৯০০ পিস ইয়াবা বিক্রয়ের সময় হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। 

পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা স্বীকার করে যে, কক্সবাজারে এই ইয়াবার পোটলাগুলো আসামীরা খাবারের সাথে গিলে খায় এবং পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জে এসে কলা এবং পাউরুটি খেয়ে সেই পোটলাগুলো পায়ুপথ দিয়ে বের করে ক্রয়-বিক্রয় করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ এভাবে অভিনব কৌশলে পেটের ভেতর নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা পাচার করে নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত মর্মে জানা যায়। 

উল্লেখ্য, আসামী রমজান ও রাজিব এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সোনারগাঁ থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রুজু রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, তাদের আরেক সহযোগী সোবহান সরদারের ছেলে মাদক সম্রাট আমজাত, কাইল্লা মনির ও ধুতি মনির পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
কেআই//