ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পিতৃহত্যার প্রতিশোধ, পুত্রসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৮ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:০০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

ঝালকাঠি শহরের আলোচিত শাহাদাৎ হোসেন হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরি গ্রামের গিয়াস মল্লিক (৪৫), কিস্তাকাঠি গ্রামের শাহীন ভূইয়া (৩৫) ও মির্জাপুর গ্রামের জয়নাল কাদি (৪৬)। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছোহরাব হোসেন নামে একজনকে খালাস দেয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত শাহীন ও জয়নাল আদালতে উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না প্রধান আসামি গিয়াস মল্লিক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রতার কারণে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল ঝালকাঠি শহরের স্টেশন রোডের একটি টিনের দোকানের ম্যানেজার শাহাদাৎ হোসেনকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে লঞ্চঘাট এলাকার জয়নাল কাদিরের বাসায় নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে আসামিরা। পরে তাঁর মস্তকহীন লাশ সুগন্ধা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। দুইদিন পর (২৩ এপ্রিল) দুপুরে নদীতে ভাসমান অবস্থায় মাথাবিহীন শাহাদাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ওইদিন ঝালকাঠি থানার পিএসআই আবদুর রহিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জয়নাল কাদিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়।

সাজাপ্রাপ্ত গিয়াস মল্লিকের বাবা দেউরি গ্রামের মোকছেদ আলী মল্লিককে ১৯৮০ সালে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। সেই হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন শাহাদাৎ হোসেন। ওই মামলায় সকল আসামি খালাশ পায়। পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়াস মল্লিক তাঁর সহযোগিদের নিয়ে শাহাদাৎকে হত্যা করেন বলে এজাহারে দাবী করেন। 

ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শীল মণি চাকমা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন। 

মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি আব্দুল মান্নান রসুল ও আসমি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সদ্য মরহুম আব্দুল রশিদ সিকদার।

এনএস/