ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

সিলেটে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক ও র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিক্সের চুক্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩৬ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রবিবার | আপডেট: ০৫:৪১ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রবিবার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক সিলেটে ভূমি বরাদ্দের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি এবং র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে. একরাম হোসেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। 

চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিক লিমিটেডকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক সিলেটে ৩২ একর জমি বরাদ্দ দিলো। তারা এই পার্কে ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। এছাড়াও বিনিয়োগে নীতিগত সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি যৌথভাবে কাজ করবে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক সিলেটে এখন পর্যন্ত ২০টি প্রতিষ্ঠান মোট ৭৪.০৬ একর ভূমি ও ১৬ হাজার ৫০০ বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো শিগগিরই সেখানে কার্যক্রম শুরু করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। কম্পানিগুলোর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমরা আশা করছি, এখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। 

তিনি আরো বলেন, সিলেটের এই পার্ক থেকে ভারতের সেভেন সিস্টার’স এর বাজারে প্রবেশের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় দেশি-বিদেশি আরো অনেক কোম্পানি এই পার্কে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। একারণে আমরা পার্কের পাশ্ববর্তী এলাকায় আরো ৬৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করার উদ্যোগ নিচ্ছি। এর মধ্যে ৮৫ একরের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক সিলেট হবে একটি ব্যতিক্রমী হাই-টেক পার্ক। এই পার্কের মধ্যেই ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখান থেকে যে দক্ষ জনবল তৈরি হবে, তারাই আবার এই পার্কে কাজ করার সুযোগ পাবে। এর ফলে ঢাকার বাইরে দক্ষ জনবলের যে সঙ্কট, তা দূরীভূত হবে।  

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩৩৬ কোটি ৪২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক সিলেট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প হওয়ায় সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই হাই-টেক পার্কটি এখন বিনিয়োগের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

এসি