ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

টিকা ছাড়া হজে যাওয়া যাবে না

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৩ পিএম, ৩ মার্চ ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০৯:৪৪ পিএম, ৩ মার্চ ২০২১ বুধবার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছর মাত্র কয়েক হাজার মানুষ হজে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে এবার সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যারা করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন, তারাই শুধুমাত্র এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক বিন ফাওজান বিন মোহাম্মদ আল-রাবিয়াহকে উদ্ধৃত করে সরকারপন্থী 'ওকাজ' পত্রিকা এই খবর দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই বছরের জুলাই মাসে হজ অনুষ্ঠিত হবে।

সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'যারা এবারের বাৎসরিক হজে অংশ নিতে চান, তাদের অবশ্যই করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকা নেয়ার প্রমাণ থাকতে হবে।' একটি বিবৃতির মাধ্যমে তার এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যা দেখতে পেয়েছে ওই দৈনিক পত্রিকাটি। সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক সংবাদপত্র স্কাই নিউজ অ্যারাবিয়াতেও খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।

যা বলছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা-
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষ হজে অংশ নিয়ে থাকেন। এ মাসের মধ্যেই সেই সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার বলেছেন, 'এই রকম একটি খবর আমরা গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি, তবে এখনও সৌদি আরব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও নির্দেশনা পাইনি।'

তিনি বলছেন, 'তবে আমাদের এই বিষয়েও প্রস্তুতি আছে। আমাদের জন্য বরাদ্দ কোটা অনুযায়ী যারা হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করবেন, তাদের আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করে দেবো। ফলে তাদের করোনাভাইরাসের টিকা পেতে কোনও সমস্যা হবে না।'

মুসলমানদের বাৎসরিক সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই জমায়েতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়ে থাকে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছর মাত্র কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।

এবারের হজে যেসব নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হবে
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এবারের হজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন নিয়ম-কানুন অনুসরণ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে- মিনা, আরাফাত, মুজদালিফাহ-র মতো পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই অনুমতি থাকতে হবে।

প্রতিটি প্রবেশ পথে তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। সবাইকে এসব চেক পয়েন্টের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। যাদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘ্রাণ বা স্বাদের অনুভূতি হারানোর মতো লক্ষণ থাকবে, চিকিৎসকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের একই ধরনের লক্ষণ থাকা মানুষদের গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত হয়ে হজে অংশ নিতে হবে।

এমনকি, এসব লক্ষণ দেখা দেবে, এমন কোনও কর্মী হজ কেন্দ্রগুলোতে কাজ করতে পারবে না, যতক্ষণ তারা পুরোপুরি আরোগ্য হন। হজের সময় সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। -বিবিসি।

এনএস/