ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নেই যথেষ্ট গবেষণা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৭ এএম, ৬ মার্চ ২০২১ শনিবার

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও কিছু প্রচেষ্টা থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খুব একটা গবেষণা নেই। মুক্তিযোদ্ধা গবেষক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্ণেল সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক জানান, প্রতিটা গ্রামেই মুক্তিযুদ্ধের একটা ঘটনা আছে, যা এখনো গবেষণায় উঠে আসেনি। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিন্তিত করে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের উপর গবেষণা বাড়ানোর আহ্বান এই বীর মুক্তিযোদ্ধার। 

পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পরপরই বাঙালির ওপর শোষণ-বঞ্চনা-বৈষম্য। সেই থেকে মুক্তি সংগ্রাম। মুক্তিকামী বাঙালিকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে যান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

নয় মাস রণাঙ্গণে রক্ত দিয়েছে বাঙালি, তেমনি একের পর এক যুদ্ধ জয় করে এগিয়েছে চূড়ান্ত বিজয়ের পথে। সাহসী বাঙালি ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক) রণাঙ্গনের যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করেন দীর্ঘদিন। তার মতে বাংলাদেশের ইতিহাসে গণমানুষের কাহিনী এখনও লেখা হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক) বলেন, পাখী শিকার করার পরিকল্পনা করলা না, বাঙালি শিকার করার পরিকল্পনা করেছিল। সেটাই ছিল লার্কানা ষড়যন্ত্র, সেই ষড়যন্ত্র নিয়ে তো আমরা গভীরভাবে পর্যালোচনা করলাম না।

কেন লেখা হয়নি, সে যুক্তিটাও তুলে ধরলেন এই গবেষক।

কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক) বলেন, বেশির ভাগ মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন অথবা বয়স হয়ে গেছে। আরেকটা বিষয় ছিল দরিদ্র-হতদরিদ্র ৮০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাই ছিল কৃষকের সন্তান।

জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর ইতিহাস পেছনে হাঁটা শুরু করলো। ইতিহাস ছিটকে পড়ে কক্ষপথ থেকে। সামরিক-স্বৈরাচারের শাসনে মৌলবাদী অপশক্তির উত্থানে ইতিহাসের বিকৃত হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক) বলেন, আইয়ুব খানের পতন, আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার প্রচেষ্টা, তারপরে গণআন্দোলন। এইসব ঘটনাগুলো সঠিকভাবে, গবেষণামূলকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

একাত্তরে নারীর ভূমিকা নিয়ে কোন গবেষণা নেই বলে আক্ষেপ আছে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার। 

কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক) বলেন, চিকিৎসা না করতো, আশ্রয় দিয়ে যদি না রাখতো যখন ঘেরাও’র মধ্যে পড়ে যেতাম তাহলে আমরা বেঁচে থাকতে পারতাম না। সে কথা আমরা ভুলে গেছি।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বেশিরভাগই এখন বেঁচে নেই। তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে আসলে তথ্যগুলোকে সন্নিবেশিত করে গবেষণা বেগবান করলে ইতিহাস সুরক্ষিত হবে বলে মনে করেন তিনি।মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক) বলেন, আমাদের সেই বয়স আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

দেখুন ভিডিও :

এএইচ/এসএ/