ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ৮ মার্চ ২০২১ সোমবার

৩৯ বলে ৫৩ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার পথে শামীমের শট।

৩৯ বলে ৫৩ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার পথে শামীমের শট।

করোনার হানায় প্রথম ম্যাচটি পণ্ড হলেও চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাহমুদুল হাসান জয়ের ফিফটির পর শামীম হোসেনের ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ উইকেটের এ জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

রোববার সকালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান তোলে সফরকারীরা। সর্বোচ্চ ৯০ রান করে আউট হন প্রিটোরিয়াস। এছাড়া জেমস ম্যাককলাম ৬২ বলে ৪১, স্টিফেন ডোহেনি ৩৭, অধিনায়ক হ্যারি টেক্টরের ৩১, শেন গেটকেটের ২৯ ও গ্যারেথ ডেলানির ৮ বলে ১৮ রানের ইনিংসের সৌজন্যে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে ওই চ্যালেঞ্জিং স্কোড় দাঁড় করায় সফরকারীরা। 

দলের হয়ে সুমন খান ও রাকিবুল হাসান ২টি করে উইকেট লাভ করেন। একটি করে উইকেট লাভ করেছেন মুকিদুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম।

পরে ২৬৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান এবং তানজিদ হাসান তামিম। দুজন মিলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৪ রান। আইরিশদের প্রথম উইকেট এনে দেন প্রিটোরিয়াস। ব্যাট হাতে অনবদ্য ৯০ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতেও দলকে সাফল্য এনে দেন এই ওপেনার কাম পেসার। ১৭ রান করা তামিমকে সাজঘরে ফেরান তিনি।

তামিম ফিরলেও জয়কে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহ বড় করতে থাকেন সাইফ। বড় ইনিংস খেলার সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন দলীয় অধিনায়ক। গেটকেটের শিকার হয়ে ৫৩ বলে ৩৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। দলীয় ৭৯ রানে সাইফ ফিরলে দলের হাল ধরেন জয় এবং ইয়াসির আলী।

এই দুই ব্যাটসম্যানদের নির্ভরশীল ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে এই জুটি থামান হোয়াইট। ফলে ৩১ করেই সাজঘরে ফিরতে হয় ইয়াসিরকে। তার বিদায়ের পর সেঞ্চুরির আশা জাগানো জয়ও বিদায় নেন দলীয় ১৭২ রানে সেই হোয়াইটের বলেই। সাজঘরে ফেরার আগে ৯৫ বলে ৬৬ রান আসে জয়ের ব্যাট থেকে।

ইয়াসির-জয়ের বিদায়ের পর দলের জয়ের স্বপ্নটা যেন অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়। তবে কঠিন হয়ে পড়া কাজটাই দারুণভাবে সামলে নেন তৌহিদ হৃদয় এবং শামিম হোসেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪২ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন তৌহিদ। তাকে সাজঘরে ফেরার পর রন আউটের শিকার হন আকবরও।

আর এই দুজনের দ্রুত বিদায়ে ম্যাচ থেকেই যেন ছিটকে যায় বাংলাদেশ। তবে একমাত্র আশার আলো হয়ে শেষ দিকে একাই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বাঁহাতি শামীম। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দল পৌঁছে যায় জয়ের কাঙ্ক্ষিত বন্দরে। শেষ ওভারে ৯ রানের প্রয়োজন হলে প্রথম বলেই মিড উইকেটে চার মারেন সুমন।

জয়ের জন্য বাকি কাজটা একাই করেন শামীম। আডায়ের করা চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে দুই বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ৩৯ বলে ৫৩ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন শামীম হোসেন। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে একই মাঠে।

এনএস/