মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান কখনোই ভুলবে না বাংলাদেশ (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার
মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও ভারতবাসীর অবদান কখনোই ভুলবে না বাংলাদেশ। বাংলার বিপদে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র-গোলাবারুদ দিয়েই নয়, এক কোটিরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর বন্ধন আজও অঁটুট। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ভাটা পড়লেও, ৯৬ পরবর্তী সময় থেকে বন্ধুত্ব এখন অনন্য উচ্চতায়।
২৫ মার্চ, ১৯৭১। রাতে পাকিস্তানি হানাদারদের গণহত্যা। অপারেশন সার্চলাইটের নামে নির্মম হত্যাযজ্ঞে রক্তাক্ত বাংলার মাটি।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর স্বাধীনতার জন্য জীবনপণ করে বাঙালি।
পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বর নির্যাতনের মুখে কয়েক মাসের মধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয় এক কোটিও বেশি শরণার্থী। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
ভারতের সরকারই শুধু নয় জনগণও হাসিমুখে আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা দেয় সবহারা বাঙালি শরণার্থীদের। শুধু তাই নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, অস্ত্র-গোলাবারুদও সরবরাহ করে ভারত সরকার। বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে দেশে দেশে ঘুরেছেন ইন্দিরা গান্ধী। অস্থায়ী সরকারের কার্যক্রমও চলতো ভারত থেকেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অস্ত্র-প্রশিক্ষণ ব্যতিক্রম নয়, ব্যতিক্রম যেটা সেটা হলো ওই শরণার্থীদের রাখার বিষয়টা। এটি ছিল বিশাল ব্যাপার, জনগণের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরির করার বিষয়। সেই জায়গাটায় আমি মনে করি এখনও যদি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয় থাকে সেক্ষেত্রে ওই শরণার্থী রাখার বিষয়টা প্রাধান্য পাবে।
৩ ডিসেম্বর সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পরে ভারত। মিত্রবাহিনী গঠনের কয়েকদিনের মধ্যে দখলমুক্ত হয় যশোর, খুলনা, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন অঞ্চল। ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকার কাছে পৌঁছে যায় মিত্রবাহিনী। ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে পাকবাহিনী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের সহায়তা না পেলে মুক্তির আন্দোলন আরও দীর্ঘায়িত হতো।
অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ৯ মাসে এতো তাড়াতাড়ি হয়তো হতো না, হয়তো হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যেতো, মানুষের দুর্দশা বেড়ে যেতো এতে কোন সন্দেহ নেই। তো সেই জায়গায় তাদের সাহায্য কাজে দিয়েছে।
মানচিত্রে বাংলাদেশ নামটির জন্য বাংলার লাখো শহীদের পাশাপাশি ভারতীয় শহীদ সৈনিকের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি। যাদের রক্ত মিশে আছে বাংলার মাটিতে। তাইতো ভারতের অবদান কখনোই ভুলবে না বাংলাদেশ।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
