ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৪ ১৪৩১

এক সাথে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ ও নেপাল (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৪৩ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০২:৪৩ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২১ বুধবার

যোগাযোগে দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার একটি মডেল হাব হতে এক সাথে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ ও নেপাল। এর অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে আপাততঃ ভুটান ছাড়াই বিবিআইএন চালু করতে সম্মত দুই দেশ। চট্টগ্রাম আর মোংলা বন্দর ব্যবহার ছাড়াও নৌপথে পণ্য পরিবহনে অনুমতি চায় নেপাল। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন উদ্যোগে সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেশী দেশ, নেপাল। দেশটিতে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা আকাশচুম্বী। বাণিজ্যের সম্ভাবনা বড় বাঁধা হলেও সরাসরি কোন সীমান্ত নেই দেশটির সাথে। 

অবস্থার উত্তরণে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহন সহজ করতেই সাত বছর আগে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ বিবিআইএন নেওয়া হয়েছিল। এর আওতায় ২০১৫ সালের জুনে ভুটানের থিম্পুতে সই হয় অবাধ মোটরযান চলাচল চুক্তি। 

কিন্তু, পরিবেশের ক্ষতির শংঙ্কায় ভুটানের সংসদের উচ্চ কক্ষে এখনও চুক্তিটির চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। এই বাস্তবতায়, এবার ভুটানকে ছাড়াই বিবিআইএন সক্রিয় করতে চায় বাংলাদেশ-নেপাল। পরবর্তী সময়ে যাতে ভুটান যুক্ত হতে পারে সে সুযোগও রাখা হচ্ছে।  পাশাপাশি বিবিআইএন-এর বিদ্যমান রুট বাড়ানোসহ ভারতের সাথে ট্রানজিট সুবিধাও বাড়াতে চায় দুই দেশ। 

এসব বিষয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচিত হয়েছে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর সফরে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা নেপাল এবং ভারতের নীতিগত সিদ্ধান্ত পেয়েছি। সত্যিকারার্থে স্বাক্ষর করার জন্য বাংলাদেশসহ তারা প্রস্তুত আছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা তিনটি দেশ এগিয়ে যেতে পারি এবং পরে চাইলে ভুটার এটিতে যোগ দিতে পারবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিদ্যমান রুটসমূহ ছাড়াও নতুন কিছু রুট অন্তরভূক্তির সম্ভাবনাকে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বাংলাদেশকে আমরা সমগ্র দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ার গেইটওয়ে তথা মাল্টি মডেল কানেকটিভিটি হাবে পরিণত করতে চাই।

সমুদ্র বন্দর বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরকে ব্যবহার এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের সুযোগ চায় নেপাল। ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো এবং বাড়তি হিসেবে নৌপথ ব্যবহারের প্রস্তাব করেছে নেপাল। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সমুদ্রবন্দরসমূহ ব্যবহারে আগ্রহী। এক্ষেত্রে মডালিটি নির্ধারণের কাজ এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। বাংলাদেশের সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট এবং নেপালের বিরাটঘর বধ্যপুরের মধ্যে সরাসরি বিমান সংযোগ স্থাপনেরও নেপাল আগ্রহী।

বছরের বেশিরভাগ সময় জলমগ্ন থাকা নেপাল জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে এগিয়ে। দেশটি তাই বাংলাদেশেকে আহবান করছে জলবিদ্যুৎ আমদানীর। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ বিনিময়ের এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা তাদেরকে থেকে প্রয়োজনের সময়ে বিদ্যুৎ আনবো আর তাদের প্রয়োজনের সময় আমরা তাদেরকে বিদ্যুৎ দিতে পারবো। শীতকালে তাদের বিদ্যুতের যথেষ্ট বেশি প্রয়োজন হয়।

অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করা ছাড়াও নেপালের রাষ্ট্রপতির সফরে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
দেখুন ভিডিও :


এএইচ/ এসএ/