ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

আইন সহায়তা কেন্দ্রে বাড়ছে নারী ও শিশু বিষয়ক মামলা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার

সুপ্রিম কোর্ট আইন সহায়তা কেন্দ্রে বাড়ছে নারী ও শিশু বিষয়ক মামলা। করোনা সংকটে ৩৫ জন নারী সহায়তাকারীর মধ্যে ৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানান সংস্থাটির সমন্বয়ক রিপন পল স্কু। শুধুমাত্র আর্থিক কারণে যেন নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় সে উদ্দেশে কাজ করছে সুপ্রিম কোর্ট আইন সহায়তা কেন্দ্র, বলে জানান সংস্থাটির সমন্বয়ক। 

মাজেদা বেগম, তার অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে হয় সাগর সরকারের সাথে। ৩ মাস পর মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। 

ঘটনার ময়না তদন্ত রিপোর্টে ও পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনেও কিছু পাওয়া যায়নি বলে উঠে আসে। তবে বাদীর বিরুদ্ধে যায়, এমন তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করা যায় বিষয়টি জানতেন না মা মাজেদা বেগম। ফলে মামলাটি নথিভূক্ত হয়ে যায়।

নিহতের মা মাজেদা বেগম জানান, আমি যাতে আমার মেয়ের হত্যার বিচার পাই। যদি আমি বিচার পাই তাহলে মনে একটু শান্তি পাবো।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ভুক্তভোগির তো নিজের জানা সম্ভব না যে, কোন লিগ্যাল স্টেপগুলো তিনি কখন নিবেন। এটা ওনার আইনজীবীকেই জানাতে হবে যে, কখন ওনাকে কি করতে হবে। চার্জফ্রেমগুলো সেই অর্ডারকে চ্যালেঞ্জ করে আসতে পারে যে, এই ধারায় চার্জফ্রেমটা গ্রহণযোগ্য না।
       
এ ঘটনায় কার দোষ, গাফিলতি, আইন-কানুন বুঝে না মায়ের মন। ন্যায়বিচারের আশায় শরিয়তপুর থেকে ঢাকায় ছুটে আসেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডে। মাজেদা বেগমের কথা শুনে তাকে সহায়তার কথা জানান সংস্থাটির সমন্বয়ক।

সুপ্রিম কোর্ট আইন সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারী রিপন পল স্কু বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা যেগুলো ট্রায়েল কোর্টে ছিল, ওই আদেশের বিরুদ্ধে এখন আমাদের সুপ্রিম করে এই লিগ্যাল অফিসের মাধ্যমে আবেদনের সংখ্যাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

করোকালে নারী ও শিশু বিষয়ক মামলাগুলোর জন্য সহায়তা চেয়ে আবেদন বাড়ছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি চলছে জমি জমা বিরোধ, জেল-আপিলসহ অন্যান্য সহায়তা দান কার্যক্রম।

রিপন পল স্কু আরও বলেন, মামলার ডকুমেন্সগুলো স্টাডি করে আমার মনে হয়েছে, সরকারি আইন সহায়তা অফিসের মাধ্যমে তাকে লিগ্যাল এইড দেওয়া উচিত।

গত এক বছরে ২ হাজার ৭৪ জনকে আইনি পরামর্শ ও সেবা দিয়েছে কমিটি। এর মধ্যে ৬২৯ জন নারী ও ১ হাজার ৪৪৪ জন পুরুষ। সরকারি খরচে মামলা হয়েছে ১০৬টি। এর মধ্যে ৩৫ জন নারী, ৬৯ জন পুরুষ ও ২ জন শিশু। 

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে নিজেদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে কমিটি। 
দেখুন ভিডিও :


এএইচ/এসএ/