ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

হাইডেলবার্গে বঙ্গবন্ধু চেয়ার মনোনীত ড. হারুন-অর-রশিদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৬ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২১ বুধবার

অধ্যাপক​​​​​​​ ড. হারুন-অর-রশিদ

অধ্যাপক​​​​​​​ ড. হারুন-অর-রশিদ

হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু চেয়ার এ মনোনীত হয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। উচ্চতর পর্যায়ের গবেষণাকার্য পরিচালনার জন্য জার্মানির এই প্রতিষ্ঠানে মনোনীত হন তিনি।

জানা গেছে, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হাইডেলবার্গ বঙ্গবন্ধু চেয়ার এ মনোনয়ন পেতে আবেদন করেছেন। হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিসহ ৮ সদস্যের বিজ্ঞ জুরি বোর্ড তাকে নির্বাচিত করে বঙ্গবন্ধু চেয়ারের জন্য মনোনয়ন প্রদান করেন।

আজ বুধবার অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যপসের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাইডেলবার্গ বঙ্গবন্ধু চেয়ার এর জন্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জার্মানি রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেন হোলপয, ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, ইউজিসি সদস্যবৃন্দ এবং জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর মোশররফ হোসেন ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দুইদশক বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার এর পদটি পুনরুজ্জীবিত করে।

হারুন-অর-রশিদের জন্ম ১৯৫৪ সালের ২৭ অক্টোবর পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার আইরন গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার বি.এ. (অনার্স) এবং মাষ্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেন থেকে পিস এবং কনফ্লিক্ট উপর গবেষণার একটি কোর্স সম্পন্ন করেছেন।

তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৭৯ সালে। তিনি ১৯৮৪ সালে সহকারী অধ্যাপক হন। তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। তিনি যথাক্রমে ১৯৯০ এবং ১৯৯৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক হন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপনার পাশাপাশি জাতীয় বিশ্বাবদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

এনএস/