ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর অজানা কাহিনী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০২১ শনিবার

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

বর্তমান প্রজন্মের সেরা দুই ফুটবলারের একজন হচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ফুটবলের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন এমন কেউ পর্তুগিজ যুবরাজ সম্পর্কে কম-বেশি অনেক কিছুই জানেন। কিন্তু ‘সিআর সেভেন’র এমন কিছু অজানা গল্প আছে, যা হয়তো অনেকেই জানেন না। আজ তেমনই একটা গল্প এখানে তুলে ধরা হলো-

রোনালদোর কৈশোর, তারুণ্য, ফুটবলার হিসেবে বেড়ে ওঠা ও আজকের রোনালদো হয়ে ওঠার সংগ্রামী গল্পটা গত কয়েক বছরে জেনে নিয়েছে গোটাবিশ্ব। পর্তুগিজ যুবরাজ যে দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন এটা কারোরই অজানা নয়। কিন্তু তার পরিবারের দারিদ্র্য যে আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল তার বাবার কারণে- সেটা হয়তো জানা নেই অনেকেরই। 

রোনালদোর বাবার নাম হোসে ডিনিস এভেইরো এবং মায়ের নাম মারিয়া দলোরেস দস সান্টোস এভেইরো। ডিনিস পেশায় ছিলেন একজন মালি এবং খণ্ডকালীন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। যে কারণে এমনিতেই সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হতো ডিনিসকে। তার ওপর করতেন প্রচুর মদ্যপান। এতে করে আরও দুর্দশা নেমে আসে পরিবারে। স্ত্রী ও দুই ছেলে আর দুই মেয়ে- সবমিলিয়ে ছয় জনের সংসারের খরচ বহন করা ডিনিসের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। 

কিন্তু নিজের সংসারের জন্য এতোটা কষ্ট করতে চাননি ডিনিস; চেয়েছিলেন কিছুটা লাঘব করতে। তার চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোটটিই ছিলেন রোনালদো। কিন্তু এই চতুর্থ সন্তানের আগমণই চাননি বাবা ডিনিস ও মা দলোরেস। কারণ রোনালদোর আগেই এই দম্পতির ঘরে এসেছে এক ছেলে ও দুই মেয়ে। তাই দারিদ্র্য আরও বাড়াতে চাননি তারা। কষ্ট করে চতুর্থ সন্তানকে বড় করে তুলতে চাননি। রোনালদো যখন মায়ের গর্ভে, তখন দলোরেস সিদ্ধান্ত নেন গর্ভপাত করানোর!

পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সিদ্ধান্ত পাল্টান মারিয়া দলোরেস। কারণ গর্ভপাত করালে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে পারতেন তিনি। প্রায় সাত বছর আগে দলোরেস তার প্রকাশিত আত্মজীবনী মায়ে কোরাখেম (সাহসী মা)-এ চমকপ্রদ এই কথাটাই উল্লেখ করেছেন। সেখানে চার সন্তানের জনক ডিনিসকে নিয়েও লিখেছেন তিনি।

২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে রোনালদোর বাবা যখন মারা যান, তখনও ডিনিসের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতেন না কেউই। তবে দলোরোস তার আত্মজীবনীতে জানান, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই ডিনিসের মৃত্যু হয়।

এদিকে, রোনালদোর মা মারিয়া দলোরোসের বয়স এখন ৬৬ বছর। দিব্যি সুস্থই আছেন তিনি। পর্তুগিজ তারকার বড় বোন ৪৮ বছর বয়সী এলমা সান্তোস এভেইরো একজন মডেল ও ফ্যাশন তারকা। বড় ভাই ৪৬ বছর বয়সী হুগো সান্তোস এভেইরো এবং ছোট বোন ৪৪ বছর বয়সী কাতিয়া এভেইরো একজন সঙ্গীত শিল্পী।

অন্যদিকে, ৩৬ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নিজেরই রয়েছে পাঁচ পাঁচটি সন্তান। যদিও তিনি নিজে সত্যিকার অর্থে এখনও কাউকে বিয়েই করেননি। তবে বর্তমানে তার লাইফ পার্টনার হিসেবে আছেন ২৭ বছর বয়সী জর্জিনা রদ্রিগেজ নামে এক স্প্যানিশ সুন্দরী মডেল তারকা। 

এনএস/