ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

১৫শতাংশ ভ্যাটসহ অন্যান্য ফি, আবাসন শিল্প ঝুঁকির মধ্যে

প্রকাশিত : ১০:৪৩ এএম, ৮ জুন ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:২৩ এএম, ৮ জুন ২০১৭ বৃহস্পতিবার

প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫শতাংশ ভ্যাটসহ অন্যান্য ফি আবাসন শিল্পকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে বলে মনে করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তাই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন রিহ্যাব নেতারা। সেই সঙ্গে স্বল্প আয়ের মানুষের কল্যাণে আবাসন শিল্পের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
বাণিজ্যিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠছে আবাসন খাত। সরাসরি ৩৫ লাখ মানুষ জড়িত এ শিল্পে। এছাড়াও আরো ২৫০টি শিল্প আবাসন খাতের সাথে জড়িয়ে আছে। তবে গ্যাসের লাইন না পাওয়া, রড, সিমেন্টে সহ নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বাড়ানোয় গেলো কয়েক বছর ধরে ফ্ল্যাট কেনা-বেচায় একধরনের স্থবিরতা চলছে।
এ অবস্থায় নতুন বাজেটে ফ্ল্যাটের মূল্যের সাথে নানা ফি যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। গেইন ট্যাক্স ৪শতাংশ, স্ট্যাম্প ফি ৩শতাংশ, রেজিষ্ট্রেশন ফি ২শতাংশ ও স্থানীয় সরকার কর ২শতাংশ রাখা হয়েছে। এর সাথে যুক্ত হবে ১৫শতাংশ ভ্যাট। ফলে এ খাতের মন্দা আরো দীর্ঘায়িত হবে বলে আশংকা করছেন রিহ্যাবের এই শীর্ষ নেতা।
আবাসন খাতের ওপর দেড় শতাংশ, স্টিল খাতের ওপর দশমিক ৫শতাংশ, ইটের ওপর দেড় শতাংশ হারে ভ্যাটের প্রস্তাব করেছিল রিহ্যাব। কিন্তু প্রস্তাাবিত বাজেটে তা অগ্রাহ্য করায় এরই মধ্যে বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। রডের টনপ্রতি দাম বাড়ছে সাড়ে ৭হাজার টাকা। প্রতি ইটের সাথে বাড়তি যুক্ত হচ্ছে ৬০ পয়সা । সিমেন্টের কাঁচামালের ওপরও ১০শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে। তাই আবাসনখাতে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ তহবিলে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবী জানিয়েছে এই ব্যবসায়ী।
অর্থনীতিবিদি এম এম আকাশের মতে প্রস্তাাবিত বাজেটে কাল্পনিক অংক বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে বিভিন্ন সেক্টরে কাল্পনিক উপায়ে কর বসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আবাসন শিল্পসহ অন্যান্য খাতে ভ্যাট কমানোরও পরামর্শ দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।
বাস্তবায়ন করা যাবেনা, এমন বড় বাজেট দিয়ে দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভন নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।