ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৬ ১৪৩২

চট্টগ্রামের ফ্যাশন হাউসগুলো বাহারি পোশাকে সাজানো

প্রকাশিত : ১১:০১ এএম, ৮ জুন ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:১৩ এএম, ৮ জুন ২০১৭ বৃহস্পতিবার

ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রামের ফ্যাশন হাউসগুলোকে সাজানো হয়েছে বাহারি পোশাকে। আবহাওয়া ও চলতি ফ্যাশন ট্রেন্ডকে মাথায় রেখে নির্বাচন করা হয়েছে পোশাকের রঙ ও ডিজাইন। তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে দেশীয় পোশাকে সংযোজন করা হয়েছে পাশ্চাত্য ধাঁচ। এসব পোশাক কিনতে ক্রেতারাও প্রতিদিন ভীড় করছেন বিভিন্ন বুটিক হাউসে।
চট্টগ্রামের বুটিক হাউসগুলোতে ঈদের আমেজ শুরু হয়েছে পহেলা বৈশাখের পরপরই। এখনো প্রতিদিনই সমানভাবে চলছে ক্রেতাদের অর্ডার নেয়া ও সাপ্লাইয়ের কাজ। ডিজাইনারের সৃজনশীলতা আর কারিগরের শ্রম মিলে নানান কারুকার্য ফুটে উঠেছে এসব দেশীয় পোশাকে।
ডিজাইনাররা বলছেন, একদিকে জৈষ্ঠ্যের খরতাপ অন্যদিকে বর্ষার সম্ভাবনা থাকায় ঈদের পোশাক তৈরিতেও এই দুইটি বিষয়কে মাথায় রাখা হয়েছে। এ কারণেই শাড়ি, সালোয়ার কামিজে নীল, বেগুনি, ফিরোজাসহ বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার করা হলেও জমিনের কারুকাজ করা হয়েছে হালকা। বৈচিত্র এসেছে ব্লাউজের ডিজাইনে। তরুণীদের লং কামিজের পরিবর্তে চল এসেছে শর্ট কামিজের। পালাজ্জোর স্থানে জায়গা করে নিয়েছে সারারা ও পাটোয়ারি সালোয়ার। ছেলেদের পাঞ্জাবির কাট-ছাটেও এসেছে বৈচিত্র্য।
সুতি, সিল্ক, মসলিন, অ্যান্ডি কটন, তাঁত, খাদিসহ নানান উপকরণে তৈরি এসব পোশাক কিনতে বুটিক হাউসগুলোতে ভীড় করছেন ফ্যাশন সচেতন ক্রেতারা।
তবে বিক্রেতারা অবশ্য এখনো খুশী নন। সামনে আরো ভালো বিক্রির প্রত্যাশা তাদের।
বৈচিত্রময় এবং নান্দনিক সৌন্দর্য্যে তুলে ধরে চট্টগ্রামের ফ্যাশন হাউসগুলি বরাবরের মত এবারো ঈদ ফ্যাশনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে প্রত্যাশা ক্রেতা-বিক্রেতা সবার।