ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনার জীবাণু বায়ুবাহিত, দাবি গবেষকদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১২:৪৭ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২১ শনিবার

করোনা উপেক্ষা করেই চলছে কেনাকাটার ধুম

করোনা উপেক্ষা করেই চলছে কেনাকাটার ধুম

কোভিড-১৯-এর জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস বা করোনার জীবাণু বায়ুবাহিত নয় বলে এতোদিন যে দাবি করা হয়েছিল, সেই দাবি নস্যাৎ করে দিলো আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘ল্যানসেট’। সম্প্রতি জার্নালটির প্রকাশিত এক গবেষণামূলক রিপোর্টে দাবি করা হয়, করোনার জীবাণু বায়ুবাহিত।

আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডার ছয় গবেষক যুক্ত রয়েছেন এই গবেষণায়। নিজেদের দাবির পিছনে অন্তত ১০টি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের বক্তব্য, জীবাণুটি বায়ুবাহিত হওয়ার পক্ষেই প্রমাণ বেশি। বাতাসে ভাসমান জলকণার মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ানোর যুক্তি বরং মিলছে না।

এই ছয় বিজ্ঞানীর দেখানো ১০টি পয়েন্ট এ রকম:
১) সুপার-স্প্রেডার ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে মানুষের আচরণ, কোন পরিসরে ঘটেছে, ঘরের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা, এ সব খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট শ্বাসপ্রশ্বাসে নির্গত জলকণা বা ড্রপলেটস-এর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো অসম্ভব।
২) পাশের ঘরে ছিলেন, সংক্রমিতের মুখোমুখি হননি, তার পরেও করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন।
৩) আক্রান্তদের ৩৩ থেকে ৫৯% উপসর্গহীন। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে ছড়াচ্ছে?
৪) বাইরের তুলনায় ঘরের ভিতরে বেশি সংক্রমণ ঘটছে।
৫) হাসপাতাল কর্মীরা পিপিই পরেও আক্রান্ত হচ্ছেন।
৬) কোভিড আক্রান্তের ঘরের বাতাসে ভাইরাস মিলেছে।
৭) কোভিড হাসপাতালের এয়ার ফিল্টারে ভাইরাস পাওয়া গেছে।
৮) খাঁচা-বন্দি প্রাণীরা সংক্রমিত হয়েছে এয়ার ডাস্ট থেকে।
৯) কোনও গবেষণায় এ পর্যন্ত ভাইরাসটি বায়ু বাহিত না-হওয়ার পক্ষে প্রমাণ নেই।
১০) ড্রপলেটস-এ ভাইরাস ছড়ানোর প্রমাণ বিশেষ নেই।

এদিকে, মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডবে বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১২ হাজার ৫শ ১৪ জনের। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার ৭০ জন মারা গেছে ব্রাজিলে, আর ভারতে ১ হাজার ৩৩৮ জন। এসময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরও ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫২ জন। টিকা কার্যক্রম চললেও মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত থাকায় তাই চরম অস্বস্তিতে বিশ্ববাসী।

করোনা আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৫ লাখ ৪৭ হাজার ১০ জনে এবং মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৩০ লাখ ১২ হাজার ৬৪৯ জন। অন্যদিকে, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৫ জন।  সূত্র- আনন্দবাজার।

এনএস/