ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বিচ্ছেদের শূন্যতা কাটাবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ৮ জুন ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:০৫ পিএম, ১০ জুন ২০১৭ শনিবার

বিচ্ছেদ বা সম্পর্ক ভেঙে গেলে জীবনের মানেটাই যেন বদলে যায়। হঠাৎ করে আসা এই শূন্যতার সঙ্গে মানিয়ে উঠতে বেগ পেতে হয় সবাইকেই। রাতের পর রাত জেগে কাটানো, নিঃসঙ্গ কান্না, সিনেমায় ডুবে থাকা, দুঃখের গান শোনা, মন ভাল করতে আইসক্রিম খাওয়া, এ সব কিছু করেও সেই শূন্যতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না আমরা। বন্ধুদের নিজের দুঃখের গল্প শুনিয়ে, ওয়াইনের বোতলে ডুবে থেকে কিছুটা সময় শান্তি পেলেও বার বার সেই কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়াতেই হয়। প্রাক্তনকে ভুলতে অন্য কারও সঙ্গে সাময়িক সম্পর্কে জড়ালেও ভোলা যে যায় না, তা বুঝতে পারি নিজেরাও।

কোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা এত কঠিন কেন? মনোবিজ্ঞানীদের মতে, ভাঙা সম্পর্কের ঘোর কাটিয়ে ওঠার উপায় একটাই। বিশ্বাস। নিজে বিশ্বাস করতে হবে, আপনি ভাল থাকতে পারবেন। পারবেনই। হতাশা, শূন্যতা কেটে আপনার মন ধীরে ধীরে ভাল হয়ে উঠছে, এই বিশ্বাস জাগাতে হবে মনে।

কেন বলুন তো এই শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে চলি, অথচ পারি না? কারণ আমরা বার বার আসলে নিজেদের বলতে থাকি, পারব না। সম্ভব না। ল্যাপটপের সামনে বসে কাটানো ঘণ্টার পর ঘণ্টা আসলে আমরা তাকেই ভেবে চলি। মনে হয় তাকে ফিরে পেলেই আবার সব কিছু আগের তো হয়ে যাবে।

এই বিষয়ে গবেষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কলরাডোর গবেষকরা । এজন্য গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের দুটো দলে ভাগ করা হয়। প্রাক্তনের ছবি দেখিয়ে তাঁদের বিচ্ছেদের কথা মনে করতে বলা হয়। এর পর তাঁদের প্রত্যেকের হাতে দেওয়া হয় একটা করে ন্যাজাল স্প্রে। একটি দলকে বলা হয় এই স্প্রে তাঁদের মন ভাল করতে সাহায্য করবে। দ্বিতীয় দলকে বলা হয় এটা নেহাতই সাধারণ ন্যাজাল স্প্রে। গবেষণার পর দেখা যায়, যাঁদের বলা হয়েছিল এই স্প্রে মন ভাল করতে সাহায্য করবে, তাঁরা সত্যিই তুলনামূলক ভাল বোধ করছেন।

গবেষণার ফলাফল ব্যাখ্যা করে এই পরীক্ষা নিরীক্ষার মুখ্য গবেষক লিওনি কোবান বলেন, ‘‘প্রত্যাশা ও অনুমান আমাদের অভিজ্ঞতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে। ভাবনা আমাদের অনুভূতিকে প্রভাবিত করে। তাই কোনও কিছু যদি আমরা ভাল করছি বা ভাল ফল পাব বিশ্বাস করে করি, তা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা করার পর ভাল বোধ করি। দুঃখ কাটিয়ে ওঠাও সেই রকমই। বিশ্বাস করতে হবে আমরা ভাল থাকব। তা হলেই ভাল থাকব।’’ 

 

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।