ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ভালোবাসা বীরকন্যা প্রীতিলতা চলচ্চিত্রে কনা’র প্লেব্যাক 

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২১ বুধবার

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘ভালোবাসা বীরকন্যা প্রীতিলতা’ অবলম্বনে প্রদীপ ঘোষ পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র‘ভালোবাসা বীরকন্য প্রীতিলতা’ চলচ্চিত্রে এবার প্লেব্যাক করছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। সংগীত শিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সংগীত পরিচালনায় একটি মৌরিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা।

শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা বলেন, ‘আমি ইতিপূর্বেও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছি। আমি ভীষণ আনন্দিত কারণ, যে বিষয় নিয়ে  ছবিটির নির্মাণ কাজ চলছে তাতে গান করতে পারা নি:সন্দেহে আমার জন্য গৌরবের। উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম নারী শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে এই প্রথম কোন চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে।  যাঁর সম্পর্কে বইপত্র থেকে জেনেছি এবং সব সময় শিহরিত হয়েছি। শহীদ প্রীতিলতার আত্মত্যাগকে তুলে ধরার যে প্রয়াস  নেয়া হয়েছে চলচ্চিত্রে তা এই জাতিকে ইতিহাস সচেতন করবে এবং বাঙালির সংগ্রামী পরিচয়কে তুলে ধরবে।’    

গানটির সুরারোপ করেছেন সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার। তিনি বলেন,‘গানের কথা লিখেছেন শাহান কবন্ধ। এই গানে আমরা প্রতিলতার আত্মাহুতির আবেগময় দৃশ্য দেখতে পাবো। চিত্রনাট্য অনুযায়ি এ গানটির মধ্য দিয়েই সমাপ্তি টানতে চেয়েছেন পরিচালক প্রদীপ ঘোষ। গানের কথাগুলো সময়কে ধারণ করতে পেরেছে বলে আমি মনে করি।

‘হলো না বুঝি হায়, এ বেলা চলে যায়
ঝিমিয়ে পড়েছে আলো।
পৃথিবী এখনো সেই, দ্বিধারই চাদরে
নিভীয়ে দিয়োনা আলো
জ্বালো জ্বালো’

শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা অসাধারণ ভাবেই গানটিতে কণ্ঠানুভূতির সফল প্রয়োগ করতে পেরেছেন বলে আমি মনে করি।
তিনি আরোও বলেন, ‘বৃটিশ শাসন আমলে সংগঠিত চট্টগ্রামর যুববিদ্রোহ সারা ভারতকে নাড়া দিয়েছিলো। চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাাতিকভাবে যেনো সকলের গ্রহযোগ্যতা অর্জন করতে পারে সে জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আশা করি দর্শক ও শ্রোতাদের কাছে গানটি ভিন্ন মাত্রার আবেগানুভূতি তৈরি করবে।’ 

আরকে//