ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

তবুও চালকের আসনে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫২ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১০:২৫ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০২১ শনিবার

উইকেট টেকার তাসকিনকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস

উইকেট টেকার তাসকিনকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস

ক্যান্ডি টেস্টের প্রথম দুই দিনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রান উৎসবের পর ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনারও শুরু করেছিলেন একইভাবে। যাতে অনেকটা হতাশায় নিমজ্জিত হয় সফরকারী বোলাররা। কিন্তু এই হতাশা বেশি দীর্ঘায়িত হয়নি। দিনের শেষ সেশনে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ।

ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা। ৭ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশের থেকে এখনও ৩১২ রানে পিছিয়ে রয়েছে তারা। যদিও সেঞ্চুরির অপেক্ষায় লঙ্কান অধিনায়ক দ্বিমুথ করুনারত্নে।

শুক্রবার দিনের প্রথম সেশনে রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করা বাংলাদেশের বোলারদের শুরুটাও ছিলো বেশ আশা জাগানিয়া। গতির সাথে বাউন্স এবং আগ্রাসন মিলিয়ে তাসকিন আহমেদ কাঁপিয়ে দেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নেকে।

তবে মধ্যাহ্নভোজের আগের সময়টুকু দাঁতে দাঁত চেপে কাটিয়ে দিলেও দ্বিতীয় সেশনে সফরকারী বোলারদের সাবলীলভাবেই খেলেন লঙ্কান দুই ওপেনার। মেহেদি হাসান মিরাজ মন্থর টার্ন পেয়ে মোটামুটি ভালো বল করলেও প্রচুর আলগা বল করেন বাকি দুই পেসার আবু জায়েদ ও এবাদত হোসেন।

বার বার সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশ কাঙ্খিত সাফল্য পায় দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে। মিরাজের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরে যান লাহিরু থিরিমান্নে। তার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। এক উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিলো ১১১ রান।
 
তবে দিনের শেষ সেশনে আর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। এই সেশনে দুই উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করে আরও ১১৮ রান। ওশাদা ফার্নান্দো ২০ রানে এবং ম্যাথিউজ ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আজ করুনারত্নে ৮৫ রান ও ধনাঞ্জয়া ২৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন।

বাংলাদেশের বোলারদের পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। 

এর আগে দিনের শুরুতে ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে সময়ের দাবি মিটিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন লিটন দাস। কিন্তু বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। ৩৯ বলে ২৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা লিটন ২৮ বলে আরও ২৫ রান যোগ করে গালিতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন।

লিটন ফিরে যাওয়ার আগেই অবশ্য নিজের ২৩তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। এরপরেও দ্রুত রান তুলতে পারেননি মি. ডিপেন্ডেবল। দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামও। তাই প্রথম সেশনে ১৮ ওভার ব্যাটিং করার পর মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।

ইনিংস ঘোষণার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিলো ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৪১ রান। মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রান করে। এই নিয়ে দেশের বাইরে তৃতীয় বার ৫০০ এর বেশি রান করলো বাংলাদেশ। যার দুই বারই করেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৬৩৮, শ্রীলঙ্কার মাটিতেই।

এছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে ২০১৭ সালে ৫৯৫ রান করেছিলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এই ইনিংসে ব্যাট করেছে ১৭৩ ওভার। এর আগে সর্বোচ্চ ১৯৬ ওভার ব্যাট করেছিলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই; ২০১৩ সালে ৬৩৮ রান করার ইনিংসে।

শ্রীলঙ্কার বোলারদের ভিতর সবচেয়ে সফল ছিলেন বিশ্ব ফার্নান্দো। বাংলাদেশের রানের পাহাড় গড়ার ইনিংসে এই পেসার শিকার করেন ৪ উইকেট। এছাড়া ধনাঞ্জয়া, লাকমল ও কুমারা শিকার করেন ১টি করে উইকেট।

এনএস/