ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাড়িতেই করোনার চিকিৎসা : কোন ওষুধ রাখতে হবে হাতের কাছে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০১ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:০৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার

দিনে দিনে করোনার ভয়াবহ রূপ প্রকাশ পাচ্ছে। অনেকেই সাধারণ উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু কী ধরনের ওষুধ ঘরে রাখবেন, কী ভাবে সামাল দেবেন করোনা?- তা জানা নেই।

আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনার ভয়াবহ রূপ দিনে দিনে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির সরকার জানিয়ে দিয়েছেন, বাড়িতে কোভিড রোগী থাকলে রেমডেসিভির ওষুধ রাখার প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে কোনও রকম স্টেরয়েডযুক্ত ওষুধ ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।

যারা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জন্য এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজারে। তারা জানিয়েছে কোন ওষুধ ঘরে রাখতে হবে এবং কী কী করতে হবে। জেনে নিন যাবতীয় তথ্য-
- যদি সংক্রমণের প্রভাব সামান্য হয়, তা হলে সাধারণ ফ্লুয়ের মতোই চিকিৎসার প্রয়োজন। ফলে অল্প জ্বর, কাশি, গা ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল রাখুন।

- ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, ডি থ্রি এবং জিঙ্ক ট্যাবলেট রাখা প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি চাই পুষ্টিকর খাবারও।

- গরম পানি গার্গল করা এবং ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় সাধারণত। কিন্তু ভেপার নেওয়ার ক্যাপসুলও (কার্ভল প্লাস) রাখতে পারেন ঘরে।

- অ্যান্টিবায়োটিক-সহ অ্যান্টিহিস্টামিন (অ্যালার্জি বা র‌্যাশের জন্য)।

- গার্গল করার জন্য বেটাডাইন মাউথওয়াশ।

- থার্মোমিটার সঙ্গে রাখুন। প্রত্যেক ৬ ঘণ্টায় জ্বর মাপতে হবে। জ্বর বেশি হলে আরও ঘনঘন।

- পাল্‌স অক্সিমিটার অবশ্যই কাছে রাখুন। প্রত্যেক ৬ ঘণ্টায় রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে হবে। শ্বাসকষ্ট হলে আরও বেশি বেশি মাপতে হবে।

- যদি নিত্য কোনও ওষুধ খান, ১৪ দিনের ওষুধ একবারে আনিয়ে রাখুন।

- ডায়েবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে সি বি জি ব্লাড গ্লুকোজ মিটার সঙ্গে রাখতে হবে।

- রক্তচাপ মাপার যন্ত্র সঙ্গে রাখুন। প্রত্যেক দিন দু’বেলা মেপে দেখতে হবে।

- হাঁপানি বা অ্যালার্জির জন্য নেব্যুলাইজার যন্ত্র সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।

এর বাইরে কোনও ওষুধ খাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, হাসপাতাল বা নজরদারি দলের প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর হাতের কাছে রাখুন। ওষুধের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন।
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ/