ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

লঙ্কান রানপাহাড়ের নিচে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৬ এএম, ১ মে ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১১:০০ এএম, ১ মে ২০২১ শনিবার

ফিল্ডিং ব্যর্থতা, ফিল্ডারদের নিষ্প্রভতা আর ক্যাচ ছাড়ার দিনে শ্রীলঙ্কার রান পাহাড়ের নিচে পড়েছে বাংলাদেশ। ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টের আজ তৃতীয় দিনের শুরুতেই রমেশ মেন্ডিসকে আউট করতেই ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক দল।

এর আগে বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতায় শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে খেলা হয়েছে ৬৫.৫ ওভার। তাসকিন আহমেদের মুগ্ধতা ছড়ানো বোলিং বাদ দিলে এদিনও ছিল স্বাগতিকদের ব্যাটিং দাপট। প্রথম সেশনেই বাংলাদেশ শিকার করে তিনটি উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে উইকেট পড়ে দুটি। তৃতীয় সেশনে বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ায় খেলাই হয়েছে অল্প।

এক উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে খেলতে নেমে দলীয় ৩১৩ রানে তাসকিনের প্রথম শিকারে পরিণত হন লাহিরু থিরিমান্নে। বিদায়ের আগে ২৯৮ বলে ১৪০ রান করেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক পাওয়া ওপেনার। ওশাদা ফার্নান্দোও হাঁটছিলেন শতকের পথে। তিনি থামেন ২২১ বলে ৮১ রানের নিখাদ টেস্ট ইনিংস খেলে। তাকে শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের ৫, ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ২ ও পাথুম নিসাঙ্কার ৩০ রানের ইনিংসের ইতি ঘটলে লঙ্কানদের অলআউট করার সুযোগ সৃষ্টি করে টাইগাররা। তবে সপ্তম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ৮৭ রানের জুটি গড়া নিরোশান ডিকওয়েলা ও রমেশ মেন্ডিস। ডিকওয়েলা ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং চালিয়ে যান খেলা বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত। ৬৪ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন এই মারকুটে। আর রমেশ ছিলেন ৫৫ বলে করেছেন ২২।

আজ তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে মাত্র চার ওভার এক বল খেলে চার-ছক্কা মেরে আরও ২৪ রান যোগ করে বাংলাদেশ দলের সফল বোলার তাসকিনের শিকার হন রমেশ মেন্ডিস। মুশফিকের হাতে ধরা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ বলে ৩৩ রান, যাতে ছিল দুটি চারের মার। তবে অন্যপ্রান্তে একটি ছক্কা আর ৮টি চারের মারে ৭২ বলে ৭৭ করে অপরাজিত থাকেন ডিকওয়েলা। 

আজ অবশ্য সেঞ্চুরিও পেতে পারতেন এই মারকুটে উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। ৭৮টা ইনিংস খেলেও যে এখনও কোনও শতকের দেখা পাননি তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল ডিকওয়েলার জন্য। কেননা, মেন্ডিস আউট হতেই যে ইনিংস ঘোষণা করেন দলনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। অর্থাৎ ৭ উইকেটে ৪৯২ রান তুলে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল শ্রীলঙ্কা।  

বাংলাদেশের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করা তাসকিন একাই শিকার করেছেন ৪টি উইকেট। সতীর্থদের সহায়তা পেলে নামের পাশে উইকেটের সংখ্যা আরও বেশি থাকত। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন অভিষিক্ত পেসার শরিফুল ইসলাম, স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।

এনএস/