ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ঈদের কেনাকাটায় হতাশ ব্যবসায়ীরা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ৫ মে ২০২১ বুধবার

করোনায় আয় কমেছে। তাই ঈদের কেনাকাটাও সাদামাটাভাবে সারছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। যা না হলেই নয় কেবল সেটুকুই কিনছেন তারা। এ অবস্থায় ক্রেতা না পেয়ে হতাশ ব্যবসায়ীরা।

সিরাজ-শরিফা দম্পতির দুই সন্তান আশা ও ঊশাকে নিয়ে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা সারতে। সিরাজ কাজ করেন তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডের একটি গ্যারেজে। লকডাউনে অনেক দিন ধরে কাজ নেই, এখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তারপরও ঈদে বাচ্চাদের নতুন জামা না কিনে দিলে কি চলে?

এই দম্পতি জানান, এই করোনায় বাসায় আছি, কাজকর্মের অবস্থা ভালো না। মাঝে মাঝে স্ট্যান্ড বন্ধ হয়ে যায়, তাতে বাজারঘাট করে নিজেদের খেতেই কষ্ট। 

কারওয়ান বাজারের আঁড়তের পাশের এই মার্কেটে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের ভিড়।

আগতরা জানান, আগে ভালো জামাকাপড় কিনতাম দামী দেখে, এখন কম দামের ভেতর কিনতে হচ্ছে। অন্য আরেকজন জানান, ঈদ উপলক্ষে কোন কেনাকাটা নেই। কারণ দেশের অবস্থা ভালো না, একদম না কিনলেই নয় যেটা।

করোনায় সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছেন অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করা মানুষেরা। ফলে নিম্ন আয়ের ক্রেতানির্ভর এই মার্কেটের ব্যবসায়ীদেরও করুণ দশা।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেখছেন তো বসে আছি, আগে এই সময়ে ভাত খাবারের সময়ও পেতাম না। স্বাভাবিক বাজারের চেয়েও এখন খারাপ। ইনকাম হবে, শখের বসে একটা কাপড় নিয়ে ব্যবহার করবে বা একজনকে দিবে- সেই রকম মনোভাব এই অবস্থায় মানুষের নেই।

সাধারণ সময়ে ১০ থেকে ১৫ রোজার মধ্যেই অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেন এসব মার্কেটের টেইলার্সগুলোও। কিন্তু এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।

টেইলার্স মালিকরা জানান, এবারের যে অবস্থা তাতে চাঁন রাতে অর্ডার নিলেও পোষাবে না।

সাধারণ সময়ের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ কেনাবেচাও এবার হবে না বলেই মনে করছেন দোকানিরা।
দেখুন ভিডিও :

এএইচ/এসএ/