ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দোয়া মাহফিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৮ পিএম, ৯ মে ২০২১ রবিবার | আপডেট: ০৯:৫৯ পিএম, ৯ মে ২০২১ রবিবার

দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী, বঙ্গবন্ধু'র জামাতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি জননেতা নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু'র নেতৃত্বে আজ ৯ মে বেলা ১২টায় ১৯ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দিন। 

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি জননেতা নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফ্রেরুয়ারি একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অত্যান্ত মেধাবী, বঙ্গবন্ধু'র জামাতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে সততা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সফলতার পিছনে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন নির্মোহ, নির্লোভ, নিরহংকার একজন মানুষ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জননেতা একেএম আফজালুর রহমান বাবু বলেন, বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন সততার মূর্ত প্রতীক। কোন ক্ষমতার মোহ তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারে নি! তিনি ছিলেন নির্মোহ, নির্লোভ, নিরহংকার একজন আলোকিত মানুষ! ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ ৭ বছর নির্বাসিত জীবন কাটান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের জন্য পদার্থ বিজ্ঞান, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ছাত্রদের জন্য দু’টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।এছাড়া তার লেখা ৪৬৪ পৃষ্ঠার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে এবং ৩২০ পৃষ্ঠার ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড কর্তৃক প্রকাশিত হয়। বহুল রাজনৈতিক ঘটনা সংবলিত এই দুটি গ্রন্থ পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়।তিনি ২০০৯ সালের ৯ মে
পরলোকগমন করেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান স্বপন, ফারুক আমজাদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আরিফুর রহমান টিটু, ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ সালমা হাই টুনি, ডিজিটাল আর্কাইভ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক এম এ হান্নান, শিশু ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান লিটু, উপ দপ্তর সম্পাদক রাহুল দাস সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর নেতাকর্মীবৃন্দ।
কেআই//