ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ১১৯, আহত ৮৩০

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩৫ পিএম, ১৪ মে ২০২১ শুক্রবার

বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশ। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও অধিকৃত গাজা উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর শত শত বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। যে হামলায় গুঁড়িয়ে গেছে বহু বাড়িঘর এবং এ পর্যন্ত ২৭ শিশু ও ১১ নারীসহ প্রাণ হারিয়েছেন ১১৯ জন ফিলিস্তিনি। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৮৩০ জন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। রয়টার্স জানিয়েছে, গাজার আবাসিক বহুতল ভবনগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ভবনকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, গাজার প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েল। গাজা থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এ পর্যন্ত ৬ জন ইসরায়েলি ও একজন ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছে বলে ইহুদিবাদী সূত্রগুলো স্বীকার করেছে। এছাড়া অনেকে হতাহত হয়েছে। 

তবে ইসরায়েলে হতাহতের চেয়ে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তেল আবিব ও এর আশেপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর ইসরায়েলের সর্বত্রই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। লোকজন ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে সময় কাটিয়েছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তাদের বিভিন্ন শহরে কেবল আগুন জ্বলছে। বহু ঘরবাড়ী ও গাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি দৈনিক হারেতজ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের ক্ষেপণাস্ত্র-বৃষ্টিতে ইহুদিবাদী নেতারা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন।

ওদিকে, ইসরায়েলের অভ্যন্তরের বিভিন্ন শহরে ইহুদিবাদীদের সঙ্গে সেখানে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে ইসরায়েলি নেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলের অভ্যন্তরে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত বেশ কয়েক জন হতাহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ শহরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়াকে ইসরায়েলের জন্য বড় বিপদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল আরোয়ি বলেছেন, এ পর্যন্ত ব্যবহৃত সব ক্ষেপণাস্ত্র ছিল পুরনো, মূল ক্ষেপণাস্ত্র এখনও ব্যবহার করিনি আমরা।

আল-আকসা টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, আমাদের কয়েকজন কমাণ্ডারের শাহাদাতের কারণে প্রতিরোধ সংগ্রাম দুর্বল হয়ে পড়বে এটা ভাবা ঠিক হবে না। শত্রুদের এমন ভাবনা মারাত্মক ভুল। বাস্তবে প্রতিরোধ সংগ্রাম প্রতিদিনই আরও শক্তিশালী হবে।

এনএস/