ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

রাজশাহীতে ঈদ জামাতে মহামারি থেকে পরিত্রাণের ফরিয়াদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০১ পিএম, ১৪ মে ২০২১ শুক্রবার

রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে চলমান করোনা মহামারি থেকে সবাইকে পরিত্রাণের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে জীবনের সব পাপমোচন, এক মাসের সিয়াম সাধনা কবুল ও নাজাতের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।

এছাড়া হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির বিপরীতে মানবিক মূল্যবোধ আর পরমতসহিষ্ণুতার বারতা ছড়িয়ে দিয়ে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহবান এসেছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীর প্রধান ঈদ জামাত থেকে।

শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ৮টায় রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এখানে ঈদের দ্বিতীয় জামাত হয় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমামতি করেন মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ রেজাউল করিম।

নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে গিয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিরা ফাঁকা ফাঁকা হয়ে সারিবদ্ধ হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি বা করমর্দন করেননি কেউ। তবে দূর থেকেই কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সবাই। নামাজকে ঘিরে এ সময় কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এদিকে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহানগরীর কাদিরগঞ্জে বায়তুল আমান আহলে হাদিস জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। শুক্রবার সকাল পৌনে ৮টার জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন সিটি মেয়র।

নামাজ শেষে রাজশাহী মহানগরবাসীসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে মহামারি করোনা ভাইরাস থেকেও বিশ^বাসীর মুক্তি কামনা করা হয়।

ঈদের নামাজ শেষে কাদিরগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ও মাতা মরহুমা জাহানারা জামানের কবর জিয়ারত করেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

অপরদিকে, নগরের রানীবাজার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে। এখানে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা শাহাদত আলী। তিনি সাধারণত প্রতিবছর রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজে ইমামতি করে থাকেন। কিন্তু এ বছর সেখানে জামাত অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণে তিনি এ মসজিদে ইমামতি করেন।সকাল ৮টায় সাহেববাজার জামে মসজিদ, বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদসহ জেলার বেশিরভাগ মসজিদে নামাজ আদায় করা হয়। এর আগে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় নামাজ হয়। এছাড়াও নগরের হড়গ্রাম বাইতুল আমিন জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এবার সরকারি নির্দেশনা মেনে রাজশাহীতেও মসজিদে ঈদের জামাত আয়োজন করা হয়। মুসল্লিরা আজ মাস্ক পড়ে, শারীরিক দূরুত্ব বজায় রেখে কাতারে দাঁড়ানো, জামায়াত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলোনা পরিহার করেন।

এবার সব ঈদ জামাত ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যারা ঈদ জামাতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু যাতে কেউ সঙ্গে না আনেন সে বিষয়ে আগেই সবাইকে সতর্ক করেছিল মহানগর পুলিশ।
কেআই//