ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আজ টেলিভিশনে ‘হাসিনা : এ ডটারস টেল’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ১৭ মে ২০২১ সোমবার

আবারও টেলিভিশনের পর্দায় ফিরে এল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার ব্যক্তি জীবনের অজানা-অদেখা গল্প নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা : আ ডটারস টেল’। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যাবে এটি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে নিয়ে নির্মিত সবচেয়ে তথ্যবহুল এই ডকুড্রামাটি বাংলাদেশের পাশাপাশি সমাদৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে।

আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে দেখা যাবে ‘হাসিনা : আ ডটারস টেল’।

৭০ মিনিটের এই ডকুড্রামাটি একই সময়ে সম্প্রচার করবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘একাত্তর’।

এছাড়া সময় টিভিতে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে, চ্যানেল২৪-এ বিকেল ৫টায় এবং এটিএন নিউজে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে দেখানো হবে এ প্রামাণ্যচিত্র।

সিআরআই-এর ট্রাস্টি এবং ‘হাসিনা : আ ডটারস টেল’র প্রযোজক রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এক ফেইসবুক পোস্টে সবাইকে ডকুড্রামাটি দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

২০১৮ সালের নভেম্বরে ‘হাসিনা : আ ডটারস টেল’ এর প্রিমিয়ার হয়। স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, মধুমিতা সিনেমা হল এবং সিলভার স্ক্রিনে প্রদর্শন শুরুর পর থেকে পরের দুই সপ্তাহে বক্স অফিসে সবচেয়ে সফল ছিল এ ডকুড্রামা।

পরে সারা দেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের আরো ৩৫টি সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় ‘হাসিনা : আ ডটারস টেল’।  টেলিভিশন চ্যানেলেও এর সম্প্রচার হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকায় আসা থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা উঠে এসেছে এই প্রামাণ্যচিত্রে।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকা অবস্থায় পরিবারের সব সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। এরপর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরা, দিক হারানো আওয়ামী লীগের হাল ধরে দলকে আবার কক্ষপথে ফেরানো, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব- সব বিষয়ই প্রামাণ্যচিত্রে তুলে এনেছেন নির্মাতা।

শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্রে স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক, তার সংস্পর্শে বেড়ে ওঠা, বাবার রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি তার অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের বিষয়টি।

পিপলু খান নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটি এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

সিআরআই এর ব্যানারে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটির প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, সিআরআইয়ের ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।

প্রামাণ্যচিত্রটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন দেবজ্যোতি মিশ্র, সিনেমাটোগ্রাফিতে সাদিক আহমেদ, সম্পাদনা করেছেন নবনীতা সেন।
এসএ/