ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে সেই নারীর মামলা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:০৬ পিএম, ১৭ মে ২০২১ সোমবার

কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার ওরফে খোরশেদ ও বাদী ভুক্তভোগী সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি।

কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার ওরফে খোরশেদ ও বাদী ভুক্তভোগী সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে আপত্তিকর, বানোয়াট ও মিথ্যা কাহিনী সাজিয়ে কুৎসা রটানোর অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত করোনাযোদ্ধা খ্যাত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার ওরফে খোরশেদ ও আরটিএন ফেরদৌসি আক্তার রেহানাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

রোববার (১৬ মে) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি (৪০) নিজেই। তিনি ফতুল্লা থানার ৩২১নং উত্তর চাষাড়ার মৃত মোঃ জহিরুল হকের মেয়ে। 

মামলায় উল্লেখ করা হয় যে, বাদী সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সিএনজি ওউনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও বিজেএমইর সদস্য। ব্যবসার কাজে প্রায় সময় তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়। অভিযুক্ত কাউন্সিলর খোরশেদের সঙ্গে বাদীর পরিচয় ছেলেবেলা থেকেই। 

আরও উল্লেখ করা হয়, ইতোপূর্বে বাদীর একটা বিবাহ হয়েছিলো। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। সেই ঘরে সন্তানও রয়েছে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খোরশেদ এবং বাদী ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখতেন। এক পর্যায়ে খোরশেদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০২০ সালের ২ আগস্ট সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরস্থ এসএস ফিলিং স্টেশনে কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই কাজী নিয়ে গিয়ে ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে তাকে বিয়ে করেন। 

বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিয়ের পর তিনি এবং খোরশেদ বিভিন্ন স্থানে একত্রে রাত্রিযাপনসহ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে খোরশেদ তার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় তিনি ব্যবসায়িক কাজে দুবাই চলে গেলে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল খোরশেদ তার ফেসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মানহানিমূলক তথ্য উপস্থাপন করেন এবং বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করে কুৎসা রটান। 

এর একদিন পর ২৫ এপ্রিল আরটিএন ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান নামক এক নারী খোরশেদ খন্দকারের বাসায় বসে লাইভে এসে তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন। তাকে রাস্তার মেয়েদের সঙ্গে তুলনা করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন এবং তার চুল কেটে ফেলা হবে বলেও ফেসবুক লাইভে হুমকি দেন। 

এই দুটো বিষয়ই দুবাই থাকাকালীন তিনি তার এক বান্ধবীর নিকট থেকে জানতে পেরে পরবর্তীতে তাদের আইডি থেকে পুরোপুরি বিষয়টি দেখেছেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি দেশেই অবস্থান করছেন এবং এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এনএস/