ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

আসন্ন বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ২৩ মে ২০২১ রবিবার

নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মানুষের চলমান আয়-ব্যবস্থা ধরে রাখার বিষয়টি আসন্ন বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যক্তি উদ্যোগকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় থাকছে বাড়তি নজর। আর অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কাজ হারানো মানুষদের জন্য নগদ ও খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখার কথাও ভাবছে সরকার। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, দক্ষ জনবল তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নতুন বাজেটে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।

করোনার প্রভাবে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ব্যবসা হারিয়ে বেকার অসংখ্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও তাদের কর্মচারি। বিশেষ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মহীনতার আঘাত বেশ জোরালো। ক্ষতিগ্রস্ত এই বিপুলসংখ্যক মানুষের সহায়তায় খাদ্যবান্ধব নানা কর্মসূচি ও নগদ সহায়তা নিয়ে পাশে আছে সরকার। 

এমন পরিস্থিতির মধ্যে কড়া নাড়ছে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি মানুষের কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরিয়ে আনতে একটি কর্মসংস্থানমুখী বাজেট প্রত্যাশা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে যে তিনটি দিককে গুরুত্ব দেয়া দরকার তার মধ্যে ম্যাক্রো ইকোনিক ম্যানেজমেন্ট, খাদ্য নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

এদিকে, করোনাকালিন বাজেটে বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের সঙ্গে কৃষি, ক্ষুদ্র ব্যবসাসহ সব ধরনের ব্যক্তি উদ্যোগকেও অগ্রাধিকারে রাখার পক্ষে উদ্যোক্তা ও গবেষকরা।

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, এখন বাংলাদেশ এলডিসি উত্তরণের পথে যাচ্ছে এবং সেখানে বাজারে আমাদেরকে প্রতিযোগিতায় ঠিকে থাকতে হবে। সেজন্য লোকাল ইনভেস্টকে আরও স্ট্রং করতে হবে।

ধারাবাহিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির ইতিবাচক প্রভাবে দেশের দারিদ্রের হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছিল। আর হতদরিদ্রের হার কমে দাঁড়ায় ১১ শতাংশে। কিন্তু বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে দারিদ্র্য বিমোচনের এই অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বরং নতুন করে কিছু মানুষ আবারও দারিদ্র্যসীমার নিচে নামছেন।

এসব বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়েই বাজেট সাজানো হচ্ছে বলে জানালেন পরিকল্পনামন্ত্রী। যাতে থাকছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচনের নানা উদ্যোগ। 

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, বিদ্যুৎ এবং অবকাঠামো- এই খাতগুলোতে প্রতিনিয়ত কাজ করতে হবে, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে টেকসই কর্মসংস্থানের বিকল্প নেই বলেও মত পরিকল্পনামন্ত্রীর।

ভিডিও-

এএইচ/