ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩১

তিন নয়, পাঁচ ম্যাচ খেলতে রাজি অস্ট্রেলিয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৩ এএম, ২৬ মে ২০২১ বুধবার

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সাথে তিন ম্যাচ করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। দুটি সিরিজের সূচিও অনেকটা চূড়ান্তই ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিবি। মঙ্গলবারই সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল অজিরা।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের যথেষ্ঠ প্রস্তুতির সুযোগ করে দিতেই ম্যাচ বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন তাঁরা।

আকরাম বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের যে তিনটা ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল, সেটা বাড়িয়ে পাঁচটা ম্যাচ খেলার প্রস্তাব করেছিলাম। তারা রাজি হয়েছে। আট থেকে নয় দিনের মধ্যে পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যতটা সম্ভব ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করছি।’

এদিকে, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরটি ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বেশ অবনতি হওয়াতে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েই তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আকরাম খান জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ কোথায় হবে এটা নিয়ে না ভেবে কেবল নিজেদের প্রস্তুতি নিয়েই ভাবছেন তারা।

তিনি বলেন, ‘এটা তো ভারতের ওপর নির্ভর করছে, ওরা কি করতে চাচ্ছে। ভারত পারবে কি না। না হলে শোনা যাচ্ছে দুবাইতে হতে পারে। আমরা এসব নিয়ে না ভেবে প্রস্তুতি অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি।’

আগের সূচি অনুযায়ী আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসতো নিউজিল্যান্ড এবং ঐ সিরিজ শেষে সেপ্টেম্বরেই আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু এখন পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষের দিকে অথবা আগস্টের শুরুর দিকে সিরিজ খেলে যাবে অস্ট্রেলিয়া। আর পরের মাসে আসবে নিউজিল্যান্ড।

একই সময় বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ইংল্যন্ডেরও। আর ওই সময় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে সাথে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনেরও পরিকল্পনা করেছিল বিসিবি। তবে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে বোর্ড।

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতিও এখন বেশ উদ্বেগজনক। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এই দুটি সিরিজ নিয়ে অনিশ্চিয়তা থেকেই যাবে। প্রশ্ন উঠেছে চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজের জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়েও। আকরাম খান আগেই জানিয়েছিলেন সিরিজ আয়োজন করতে প্রস্তুত থাকবেন তাঁরা। বাকিটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর।

আসলে পরিস্থিতির ওপর তো কারোরই হাত নেই, তারপরেও বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খুব একটা দেখা যায় না। ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে তিনটি ওয়ানডে খেলে যাওয়ার পর ২০১৭ সালে দুটি টেস্ট খেলতে ফের বাংলাদেশ সফরে এসেছিলো অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। চার বছর পর আবারও এক সিরিজে মিলিত হচ্ছে দুদল।

এনএস/