ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শ্রীমঙ্গলের দুই সাংবাদিক পারিবারকে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক হস্তান্তর

মৌলভীবাজার প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ১০:৪৬ এএম, ১ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

চেক গ্রহণ করছেন প্রয়াত সাংবাদিক কেপি দাশ বুলুর স্ত্রী ঝর্ণা দাশ। ছবি: একুশে টেলিভিশন

চেক গ্রহণ করছেন প্রয়াত সাংবাদিক কেপি দাশ বুলুর স্ত্রী ঝর্ণা দাশ। ছবি: একুশে টেলিভিশন

 

চেক গ্রহণ করছেন প্রয়াত সাংবাদিক কেপি দাশ বুলুর স্ত্রী ঝর্ণা দাশ। ছবি: একুশে টেলিভিশন

 

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কর্মরত অস্বচ্ছল, অসুস্থ, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক ও মৃত সাংবাদিক পরিবারের মাঝে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের বরাদ্দকৃত চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চেক হস্তান্তর করেন।

এসময় দুর্ঘটনায় আহত একজন সাংবাদিককে ৫০ হাজার টাকা ও মৃত এক সাংবাদিকের পরিবারকে দেয়া হয় ৩ লাখ টাকার চেক।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত, সাংবাদিক সঞ্জয় কুমার দে প্রমুখ। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তীসহ গণমাধ্যম কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খোলা চিঠি পত্রিকার সহ-সম্পাদক প্রয়াত সাংবাদিক কে পি দাশ বুলুর সহধর্মিণী ঝর্ণা দাশের হাতে তিন লাখ টাকার চেক এবং মাইটিভি জেলা প্রতিনিধি শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আহত সাংবাদিক সঞ্জয় কুমার দে’র হাতে পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন সংসদ সদস্য নেছার আহমদ ও জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।

২০১৭ সালের ১৫ জুলাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সাংবাদিক কে পি দাশ। এরপর দুই সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন তার বিধবা স্ত্রী ঝর্ণা দাশ। অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাব। তারা প্রয়াত সাংবাদিকের দুই মেয়ের শিক্ষা ও চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। পাশাপাশি পরিবারটির প্রতি যথাসাধ্য আর্থিক সহায়তার হাত বাড়ান। 

পরিবারটির দুরাবস্থার বিষয়টি পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদকে জানালে তিনি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করতে বলেন। যথা নিয়মে আবেদন করার পর যাচাই বাছাই শেষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রয়াত কেপি দাশ বুলুর পরিবারের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। 

সোমাবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৩ লাখ টাকার চেক পেয়ে কেপি দাশ বুলুর স্ত্রী দু’হাত জোড় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রার্থনা করেন।

সহায়তাপ্রাপ্ত অপর সাংবাদিক সঞ্জয় কুমার দে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দুর্ঘটনায় তার দু’পা ভেঙ্গে যায়। তিনি বহুদিন বিছানায় ছিলেন। তাকে এই সহযোগিতা করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন। 

আহত সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বক্তারা।

এ সময় প্রধান অতিথি মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে একটি ট্রাস্ট গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, আর তা বাস্তবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় কোন অপশক্তি যাতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত না করতে পারে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের আরও বেশি সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।

এএইচ/