ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সিলেট ও চট্টগ্রামে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ১ জুন ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:০৮ পিএম, ১ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

সিলেটের ডাউকি ফল্ট আর চট্টগ্রামের পার্বত্যাঞ্চলে ৭ থেকে ৮ মাত্রার দুটি বড় ভূমিকম্পের আশংকা করছেন ভূতত্ববিদরা। ভূঅভ্যন্তরে কয়েকশ’ বছর ধরে শক্তি সঞ্চয়ের কারণে এ শংকা তাদের। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সর্তক অবস্থান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান বিশেষজ্ঞদের। 

পরপর দু’দিন মোট ৬ বার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিলেটে। এ নিয়ে আতঙ্কে সারাদেশের মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গে যৌথ গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত আর্থ অবজারভেটরির পরিচালক ভূতত্ববিদ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ূন আখতার। তার গবেষণা মডেল বলছে ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং বার্মার তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থান বাংলাদেশের। আর দু’দিকে ভূ-গঠনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়েছে। তাই গত দুদিনের ভূমিকম্পন বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে গত হাজার বছরে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়নি। অর্থাৎ এখানে যে সঞ্চিত শক্তি সেটা বের হয়নি। একইভাবে ডাউকি ফল্টের পূর্বপ্রান্তে গত ৫শ’ বছরে ভূমিকম্প হওয়ার মত ইতিহাস নেই। তার মানে পূর্বপ্রান্তে শক্তি জমা হয়ে রয়েছে এবং সেখানে ৭ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সংগঠিত হতে পারে। 

এই অঞ্চলে গত কয়েক শতাব্দীতে একাধিক বড় মাপের ভূমিকম্প হয়েছে। কিন্ত সিলেটের ডাউকি ও চট্টগামের পার্বত্য অঞ্চল আর ভারতের ত্রিপুরা বেল্টে গত ৫শ’ থেকে ১ হাজার বছরে বড় কোন ভূমিকম্প হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে এই অঞ্চলে ভূঅভ্যন্তরে শক্তি সঞ্চয় হওয়ায় উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, অতীতের আর্থ ইন্ডিকেট করছে যে এখানে ৬ থেকে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প যে কোন সময়েই হতে পারে।

অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট চরম ঝুঁকিতে আছে। মাত্র ৫ থেকে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ভেঙ্গে পড়তে পারে রাজধানীর বেশিরভাগ দুর্বল অবকাঠামো। 

অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত এবং ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের রাজধানী। সেখানে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হবে। 

অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ভূমিকম্পের পরে যে মানুষের সাহায্যের ব্যাপার আছে, মানুষের যে বাসাবাড়ি থাকবে না সে বাসাবাড়ির ব্যবস্থাপনার যে ব্যাপারটি আছে- এটার জন্য আমাদের অনেক ট্রেনিং এবং এমার্জেন্সিং ক্যাপাসিটি অবশ্যই বাড়াতে হবে।

তবে আতঙ্কিত না হয়ে, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ভিডিও-

এএইচ/