ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

উন্নয়নকে টেকসই করতে পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ৪ জুন ২০২১ শুক্রবার

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উন্নয়নকে টেকসই করতে সকল পর্যায়ে পরিবেশ-সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার (৫ জুন) ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।

পরিবেশ-সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২১’ পালনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মানব সভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিবেশ-সংরক্ষণ এবং অবক্ষয়িত পরিবেশ পুনরুদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবেশ-ধ্বংসকারী কার্যক্রম যেমন বন-জঙ্গল ধ্বংস করা, বন্যপ্রাণীনিধন এবং বায়ুদূষণসহ অন্যান্য

দূষণবৃদ্ধির প্রভাবে জলবায়ু-পরিবর্তনের ফলে আজ মানবজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রকৃতি, প্রতিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য-সংরক্ষণ এবং এগুলোর টেকসই ব্যবহারকে গুরুত্ব দিয়ে এ বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি বাণীতে উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানজনিত কারণে বাংলাদেশ বছরের বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। এর সাথে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য-সংরক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ সংবিধানে ১৮ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।’ এ অনুচ্ছেদ সন্নিবেশের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ আইনে পরিবেশ-সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা ও গুরুত্ব প্রতিফলিত হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ক্রমক্ষয়িষ্ণু প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয়ের অব্যাহত ধারা-প্রতিরোধে জাতিসংঘ ২০২১-২০৩০ সময়কে প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার দশক হিসেবে ঘোষণা করেছে।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, সরকার জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশগুলোকে সংরক্ষিত এলাকা ও প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণাপূর্বক সেগুলোর প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সকলক্ষেত্রে যাতে পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নকে বিবেচনায় নেয়া হয়, সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান-স্থাপনে প্রতিবেশ ও পরিবেশসম্মত বিধিব্যবস্থা-প্রতিপালনের দিকে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃষি, শিল্পসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।- বাসস

এসি