ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

জয়পুরহাটে আংশিক লকডাউন, করোনাক্রান্ত প্রশাসনের ৩৩ জন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৩০ পিএম, ৮ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাটের পৌরসভাসহ সদর উপজেলা ও পাঁচবিবি পৌরসভা এলাকায় আংশিক লকডাউনের ন্যায় নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রশাসনের ৩৩ জন।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে এই নতুন বিধি নিষেধের বিষয়ে মাইকিং করা হয়।
 
মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সোমবার সকাল দশটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আংশিক এ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

ঘোষিত আংশিক লকডাউন বিধিতে জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌর এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কাঁচা বাজার, খুচরা ও পাইকারী বাজার, মুদি দোকা, রেষ্টুরেন্ট ও চায়ের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সাথে ভারত সীমান্তবর্তী গরুর হাট ১৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত  হয়।

তবে ওষুধ, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন অথবা সৎকার কাজে জড়িত প্রতিষ্ঠান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষি পণ্য ও খাদ্য সামগ্রী পরিবহণ এবং দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে পারবে। 

জেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের পর তা বাস্তবায়নে শহরে ব্যাপকভাবে মাইকিং করা হয়। দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরগণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করেন। 

এ সময় পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও করোনার বিস্তার রোধে জয়পুরহাট পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে প্রতিদিন মাঠে অবস্থান নিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।

এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সসহ ১৫ জন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ ৬ জন এবং পুলিশ বিভাগের ১২ জন সদস্য। 

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০৪১ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১৩ জন আর সুস্থ্য হয়েছেন ১৬৩৫ জন।

জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌর এলাকায় এবার করোনা আক্রান্তের হার বেশি। করোনার এই প্রকোপ ঠেকাতে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তারপরও যদি সংক্রমণের গতি না কমে তাহলে পরবর্তী সভায় আলোচনা করে পুর্ণাঙ্গ লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে। 

এএইচ/