ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইউপি সদস্যকে হত্যার অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি: 

প্রকাশিত : ০৫:২২ পিএম, ১০ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:২৭ পিএম, ১০ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় রবিন্দ্র কুমার দাস নামে এক ইউপি সদস্যকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দিবাগত রাত দুইটার পর যে কোনো সময় ৬নং ওয়ার্ডস্থ আশ্রাফ সমাজ এলাকায় সড়কের উপর এ ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যা কান্ড হতে পারে বলে ধারণা করছে তার স্বজন ও পুলিশ। 

নিহত রবিন্দ্র সতিষ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং হাতিয়া উপজেলা আ.লীগের সদস্য। 

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান, রাতে স্থানীয় বাংলা বাজার এলাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে হাতিয়া উপজেলা সদর দপ্তর উছখালী যাচ্ছিল রবিন্দ্র। পথে দুর্বৃত্তরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরো দুই মোটরসাইকেলের আরোহীরা পালিয়ে গেলেও রবিন্দ্র পালাতে পারেনি। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে সড়কের পাশে ফেলে চলে যায়। পরে টহল পুলিশ ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় সড়কে তিনটি মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে এবং সড়কের পাশে রবিন্দ্র রক্তাক্ত অবস্থায় ঘোংরাচ্ছে দেখে তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে রবিন্দ্রের সঙ্গে একই মোটরসাইকেল থাকা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আল-আমিনের দাবী, স্থানীয় চেয়ারম্যনের ভাই ও ছেলেসহ এ হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে মোবাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বর্তমান নির্বাচন স্থগিত করা নিয়ে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছে। রবিন্দ্র হত্যার সঙ্গে তার পরিবারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে এ হত্যা কান্ড পূর্ব শত্রুতার জেরে হতে পারে বলে ধারণা তার। 

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। রবিন্দের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করার চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি। 

পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, নিহত রবিন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ থানায় অন্তত ২৮টির মতো মামলা রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনার মামলায়ও রবিন্দ্র অন্যতম আসামী। তার নামে ‘রবিন্দ্র’ বাহিনী বলে একটি সক্রিয় বাহিনীও রয়েছে। 

আরকে//